ব্রেকিং নিউজ
Home - জাতীয় - ঈদের ব্যস্ততায় স্বরূপকাঠির পাঞ্জাবী ও টুপি কারিগর

ঈদের ব্যস্ততায় স্বরূপকাঠির পাঞ্জাবী ও টুপি কারিগর

মো. খালিদ আবু, পিরোজপুর > ঈদের নামাজ পড়তে গেলে চাই নতুন পাঞ্জাবী আর নতুন টুপি। আর এ দুটো জিনিস না হলেই নয়। ছেলে থেকে বুড়ো সকলের কাছেই পাঞ্জাবী আর টুপি অতি প্রয়োজনীয়। আর সেগুলো যদি হয় মনের রংয়ে রাঙ্গানো এমব্রয়ডারী করা তা হলেতো আর কথাই নেই। আর সেই মনের মত পাঞ্জাবী আর টুপি তৈরি হচ্ছে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে। ইতিমধ্যে এখানকার পাঞ্জাবী ও টুপি নিজ এলাকা ছাড়িয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে এর কদর বেড়ে গেছে বহুগুন। এ উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে মোট ২৭ টির মত কারখানা এবং দোকান রয়েছে পাঞ্জাবী ও টুপির । প্রতিটি কারখানায় ৫/৬ জন কারিগর কাজ করে থাকেন। সরেজমিনে উপজেলার ওইসব কারখানা এবং দোকান গুলিতে ঘুরে দেখা গেছে, বাহারী রংয়ের বহু ডিজাইনের চোখ ধাধানো পাঞ্জাবী ও টুপি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। পাঞ্জাবী ও টুপি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা।
পাঞ্জাবী তৈরি সম্পর্কে ছারছীনা টেইলার্সের মালিক হাফেজ মো: ফজলুল হক ও দীনিয়া টেইলার্সের মালিক মো: জাহিদ হোসেন জানান, প্রতিটি পাঞ্জাবী তৈরি করতে কাপড় ছাড়া ২’শ থেকে ৩’শ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। আর ক্রেতাদের কাছ থেকে ২’শ ৫০ টাকা থেকে ৪’শ ৫০ টাকা পর্যন্ত মজুরী রাখা হয়। টুপি তৈরি সম্পর্কে মাহবুব এ্যামব্রয়ডারী হাউসের সত্বাধিকারী মো: মাহবুব ও নেছারাবাদ দারুসুন্নাত ষ্টোরের মালিক মো: ছাইফুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা গেছে প্রতিটি টুপি তৈরি করতে কাপড়, বকরুম, সুতা ও কারিগরের মজুরী সহ ১’শ থেকে ১৭০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। আর তৈরিকৃত ওই সকল টুপি ১’শ ২৫ টাকা থেকে ২’শ ৫০ টাকা পর্যন্ত টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা হয়। এছাড়াও ষ্পেশালভাবে তৈরিকৃত কিছু টুপি ৩’শ টাকা থেকে ৪’শ ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের তৈরিকৃত পাঞ্জাবী ও টুপি এ উপজেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডাক ও কুরিয়ারযোগে প্রেরন করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের অর্ডার অনুযায়ী পাঞ্জাবী ও টুপি সরবরাহ করে থাকেন। কারখানা মালিকেরা অভিযোগ করেন বর্তমানে নিম্নমানের চায়না টুপির কারনে তাদের বাজার নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়াও বিদ্যুতের লোডশেডিং সমস্যার কারনে ব্যাপক চাহিদা নির্ভর এ পাঞ্জাবী ও টুপির চাহিদা মেটাতে পারছেন না এখানকার ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে কারিগররা জানান, সঠিকভাবে বিদ্যুত পাওয়া গেলে একজন কারিগর প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ টি পাঞ্জাবী অথবা টুপি তৈরি করতে পারেন। পুরুষদের পাশাপাশি কিছু নারী কারিগররা পাঞ্জাবীতে হাতের কাজ করে থাকেন। আর এর জন্য প্রতিটি পাঞ্জাবী তৈরিতে ২’শ থেকে ৪’শ টাকা এবং টুপি তৈরিতে ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত মজুরী পান । ঈদের কারনে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনে রাতে সমান তালে পাঞ্জাবী ও টুপি তৈরি করে চলছেন তারা।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...