ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় গত কয়েক দিনের গরমে প্রত্যন্ত এলাকায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯৮জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগি ভর্তি হয়েছেন। আজ সোমবার ৩৮ জন রোগি ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। প্রচন্ড গরম আর পানিবাহিত ডায়রিয়া রোগের হঠাৎ কওে প্রকোপ দেখা দেওয়ায় হাসপাতে রোগির সংখ্যা বাড়ছে। এদিকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। বাড়তি ডায়রিয়া রোগির কারনে মেজেতেও জায়গা সংকুলন হচ্ছেনা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডায়রিয়া রোগির চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালের সকল চিকিৎসক ও সেবিকাদের ছুটি বাতিল করেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচন্ড রোদের তাপদাহে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় সুপেয় পানির সংকটে নানা পানিবাহিত রোগ বাড়ছে। হঠাৎ করে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রত্যন্ত এলাকায় ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে। গত এক সপ্তাহে ১৯৮ জন ডায়রিয়া রোগির চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। গত এক মাসে হাসপাতালে ৭শত ৬১জন ডায়রিয়া ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। গতকাল সোমবার(২৪ ঘন্টায়) ৩৮জন ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিনই এখন ডায়রিয়া রোগি ভর্তি বাড়ছে। এমন অবস্থায় হাসপাতালে পর্যাপ্ত কলেরা স্যালাইন থাকলেও মেট্রো আইভি, সিপ্রো আইভি, ওমিপ্রাজল, ক্যানোলাসহ বিভিন্ন ওষুধ সংকট রয়েছে। ফলে গরীব ডায়রিয়া রোগীরা বাহির থেকে ওষুধ কিনতে হিমসিম খাচ্ছেন।
জানাগেছে, ইতিপূর্বে ধাওয়া গ্রামোর মো. মোতালেব তালুকদার ( ৫৫) ও আবুল দোকানদার এর স্ত্রী আছিয়া বেগম (৫০) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তাদের হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেয়ার তারা পূবের্ই মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত জানান, ডায়রিয়ার কারণে চিকিৎসকসহ সকল সেবিকাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রচন্ড গরম এবং অসচেতনতার কারণে সাধারণ মানুষ এ রোগে বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি সকলকে সুপেয় পানি পান ও বাসি পচা ফরামালিন যুক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।