পিরোজপুর প্রতিনিধি >>
৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর পথধরে খুনি মোস্তাক চক্র ১৯৭৬ এ এক সমাবেশে নতুন এক ৬ দফা ঘোষনা করেছিল। যার মধ্যে ছিল, বাংলাদেশের পতাকা পরিবর্তন, জাতীয় সংগীত পরিবর্তন, ৫২ ভাষ অন্দোলনের পটভুমিকায় নির্মিত সকল শহীদ মিনার গুড়িয়ে দেয়া, মুক্তিযুদ্ধের পটভুমিকায় নির্মিত সকল ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলা, যারা পাকিস্থানের পক্ষে কাজ করেছে সেই সব রাজাকার-আল বদরদের নামে মিনার তৈরী করা এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন কারী সকল যোদ্ধাদের জারজ সন্তান ঘোষনা করা। কিন্তু মোস্তাক গংদের সে আশা তার পুরা করতে পারেনি। তারা বলেন, আবারও স্বাধীনতা বিরোধীরা বিদেশী দোসরদের মদদে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করছে আর একটি ৭৫ ঘটানোর জন্য। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জঙ্গী সন্ত্রাসী দমনে কঠোর থাকায় সকল ষড়যন্ত্র নস্যাত হয়ে যাচ্ছে। আগামীতেও মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের সরকারকে নির্বাচিত করে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে চিরতরে দেশ থেকে উৎখাতের অহবান জানান বক্তারা।
পিরোজপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জেলা সংসদের আয়োজনে স্থানীয় টাউনক্লাব মাঠ স্বাধীনতা মঞ্চে অলোচনা সভায় জেলা উদীচীর সহ সভাপতি তাপস ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম এ হাকিম হাওলাদার, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জেলা উদীচীর সভাপতি এডভোকেট এম এ মান্নান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সাংবাদিক গৌতম চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি পিপি এডভোকেট খান মো. আলাউদ্দিন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মন্টু, পৌর কাউন্সিলর সাদুল্লাহ লিটন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম টিটু প্রমুখ। জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক খালিদ আবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে সন্ধ্যায় আগুনের পরশমনি ছোয়াও প্রানে গানটির সাথে মোমবাতি বাতি প্রজ্জলন করে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর ওপর গান পরিবেশন করে উদীচীর শিল্পীরা।