আজকের মঠবাড়িয়া অনলাইন ডেস্ক 🔹
বিয়েতে যৌতুক দাবি, গ্রহণ বা প্রদান, এমনকি যৌতুকে সহায়তা সংক্রান্ত অপরাধের শাস্তি ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৮’ উত্থাপন করা হয়েছে। বিলে ওই অপরাধের জন্য কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে বিধান রাখা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিলটি উত্থাপনের বিরোধীতা করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মো. ফখরুল ইমাম। তবে তার আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
প্রস্তাবিত আইনের তিন নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যৌতুক দাবি করলে, তিনি পাঁচ বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগে এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশে জরিমানার বিধান থাকলেও জরিমানার পরিমাণ নির্ধারিত ছিল না। আর বিলের চার নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যৌতুক গ্রহণ করলে বা প্রদান করলে উভয়েই দণ্ডিত হবেন। তারা সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল, সর্বনিম্ন এক বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আগের আইনে যৌতুকের মিথ্যা মামলার জন্য কোনো শাস্তির বিধান না থাকলেও সংসদে উত্থাপিত বিলের ৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি যৌতুক সংক্রান্ত মিথ্যা মামলা দায়ের করেন, তিনিও সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল থেকে সর্বনিম্ন এক বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রণীত ওই বিলের কারণ ও উদ্দেশ্য সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যৌতুক প্রথা এক ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। এ কারণে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পরিকল্পনা প্রণয়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও নারীর ক্ষমতায়ন বাধাগ্রস্ত হয়। এই যৌতুক প্রথা অবসানের লক্ষ্যে ১৯৮০ সালের অধ্যাদেশ-এর আলোকে নতুন আইন প্রণয়নে বিলটি আনা হয়েছে।
সূত্র > কালের কণ্ঠ