ব্রেকিং নিউজ
Home - মঠবাড়িয়া - মঠবাড়িয়ায় প্রশাসনের নাকের ডগায় গড়ে উঠেছে অবৈধ করাত কল ॥ প্রশাসন নিরব

মঠবাড়িয়ায় প্রশাসনের নাকের ডগায় গড়ে উঠেছে অবৈধ করাত কল ॥ প্রশাসন নিরব

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : সরকারের আইন-কানুনকে বৃদ্ধাগুল প্রদর্শন করে এবং প্রশাসনের নাকের ডগায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অবৈধ স’মিল (করাত কল)।

ঘূর্ণিঝড় সিডর পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত এর পরিমানটা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্যের। অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বড় অংকের রাজস্ব। বছরের পর বছর স’মিল ব্যবসায়ীরা সরকারের সাথে প্রতারণা করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে বন বিভাগের এক শ্রেনীর অসাধু কর্মকর্তা মিল মালিকদের নিকট থেকে বাৎসরিক চাঁদা নিচ্ছেন। এতে করে লাভবান হচ্ছেন ওই অসাধু কর্তারা ও মিল মালিকরা। অপরদিকে সরকারের রাজস্ব তহবিলের খাতা শুন্যই থেকে যায়।

মঠবাড়িয়া বন বিভাগ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আনাছে-কানাছে প্রায় শতাধিক স’মিল রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৭ টি মিলের লাইসেন্স রয়েছে। এদের অনেকেই নিয়মিত লাইসেন্স নবায়ন করছেন না। অভিযোগ রয়েছে উপকূলীয় এলাকার অনেক মিলে রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ সুন্দরী কাঠ ও সরকারি কাঠ চেরাই করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন বিভাগের এক কর্মচারী জানান, একটি মিলের লাইসেন্স করতে যে অর্থেও প্রয়োজন হয়, বাস্তবে সেই অর্থের ৪/৫ গুণ টাকা নেওয়া হয়। যে কারনে মিল মালিকেরা লাইসেন্স করতে চান না। কর্তারা টুপাইস ধান্ধা করে জনবল সংকট দেখিয়ে মিল তদারকি যুগের পর যুগ বন্ধ করে রেখেছেন। তিনি এটাও বলেন, মিল মালিকদের একাধিক বার নোটিশ করা হয়েছে। অজ্ঞাত কারণে তারা লাইসেন্স করছেন না। হয়তো কর্তাদের ম্যানেজ করা হয়েছে। তিনি কার্যকরি মোবাইল কোর্টের দাবী জানান। তিনি মনে করেন অবৈধ মিল মালিকদের বড় ধরনের জরিমানা বা মিল সিলগালা করলে তারা লাইসেন্স করতে বাধ্য হবেন। সরকার রাজস্ব পেত।

স’মিলের লাইসেন্স কেন করছেন না ? একাধিক মিল মালিকের কাছে প্রশ্ন করলে তারা কোন জবাব দিতে রাজি হয়নি। তারা শুধু এটুকু জানান আমাদের ব্যাপারে অফিস অবগত আছেন।

এব্যাপারে মঠবাড়িয়া ও ভান্ডরিয়া উপজেলার বন কর্মকর্তা সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তারা সর্ব বিষয় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে তিনি মিল মালিকদের কাছ থেকে উৎকোচ নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এসব ডাহা মিথ্যা কথ্যা।

পিরোজপুর রেঞ্জের বন কর্মকর্তা দিপংকার রায় (ভারপ্রাপ্ত) জানান, প্রতিটি স’মিল মালিককে নোটিশ করে ১ মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তারা লাইসেন্স না করলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বাগেরহাট) হারুন অর রশিদ জানান, লাইসেন্স করানোর জন্য আমরা বিভিন্ন সময় চাপ সৃষ্টি করেছি। কিন্তু মিল মালিকরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যাচ্ছেন। এবার আমরা সব কিছুর উর্ধ্বে উঠে তাদেরকে মোবাইল কোর্ঠের মাধ্যমে লাইসেন্স করানো হবে। সেজন্য আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। অচিরেই অভিযানে চালানো হবে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...