ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - স্বাধীনতা যুদ্ধ : যেভাবে শুরু ও বিজয়

স্বাধীনতা যুদ্ধ : যেভাবে শুরু ও বিজয়

নূর হোসাইন মোল্লা >
(৬ষ্ঠ পর্ব )
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য জামায়াত-ই ইসলামের পূর্ব পাকিস্তান শাখার সহকারী আমির মাওলানা এ,কে,এম ইউসুফ ১৯৭১ সালে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে খুলনার খানজাহান আলী রোডে অবস্থিত আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন জামায়াত-ই ইসলামের কর্মী নিয়ে প্রথম রাজাকার বাহিনী গঠন করেন। আনসার বাহিনীর অধিকাংশ সদস্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করায় পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক গভর্নর লে. জেনারেল টিক্কা খান ১৯৫৮ সালে গঠিত আনসার বাহিনী বিলুপ্ত ঘোষণা করে ২ জুন রাজাকার অর্ডিন্যান্স জারী করেন। আনসার বাহিনীর সম্পত্তি, মূলধন, দায় এবং রেকর্ড পত্র রাজাকার বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ অর্ডিন্যান্স বলে ৫০ হাজার রাজাকার নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এ অর্ডিন্যান্সে আরও বলা হয় যে, প্রাদেশিক সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে যে সকল ব্যক্তিকে রাজাকার বাহিনীতে ভর্তি করা হবে তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত করা হবে এবং নির্ধারিত ক্ষমতা বলে রাজাকাররা তাদের দায়িত্ব পালন করবে। এ অর্ডিন্যান্স বলে যে কেউ রাজাকার বাহিনীতে ভর্তি হতে পারবে। জুলাই মাসের মধ্যে ২২ হাজার রাজাকার রিক্রুট করা হয়। এ বিপুল সংখ্যক রিক্রুট হওয়ার পিছনে কারণ ছিল (১) ইসলাম পন্থী দলগুলোর কোনটিই মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেননি। তাদের সমর্থকদের মধ্যে থেকে অনেকেই স্বতঃস্ফুর্তভাবে রাজাকার বাহিনীতে যোগদান করেন। (২) নিয়মিত ভাতা, রেশন, স্থানীয় ক্ষমতার ব্যবহার এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ীঘর ও বিষয় সম্পত্তি অবাধে লুটপাট ও ভোগ দখল করার জন্যে সমাজের সুযোগ সন্ধানী এক শ্রেণীর লোক রাজাকার বাহিনীতে যোগদান করে। এছাড়া, গ্রামের বহু গরীব যুবক,টাউট, বাটপার, গুন্ডা, মাস্তান, মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র ও জামায়াত-ই ইসলামের কর্মীরা রাজাকার বাহিনীতে ভর্তি হয়। সেনা বাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে রাজাকারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং দুই সপ্তাহ প্রশিক্ষণ শেষে তাদের হাতে ৩০৩ রাইফেল তুলে দেয়া হয়। রাজাকার কমান্ডারদেরকে স্টেনগান দেয়া হয়। রাজাকার বাহিনী পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। তারা গণহত্যা, লুটপাট, নারী ধর্ষণ, অগ্নি সংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে রাজাকার বাহিনীকে আধা সামরিক বাহিনীতে পরিণত করা হয় এবং সরকারি কোষাগার থেকে বেতন, রেশন ও পোষাক দেয়া হয়। শান্তি কমিটি এবং রাজাকারদের সহযোগিতায় পাক হানাদার বাহিনী মে মাসের মধ্যেই গ্রাম-গঞ্জে পৌছে যায়। ফলে হত্যা ও নির্যাতন সীমাহীনভাবে বেড়ে যায়। রাজাকার বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল জামায়াত-ই ইসলামী। ইসলামী ছাত্র সংঘের জেলা প্রধানরা নিজ নিজ জেলার রাজাকার বাহিনীর প্রধান ছিল। রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত। রাজাকারদের কৃতিত্বে পাক সেনারা আনন্দ ও গর্ববোধ করত।
অবাঙ্গালি বিহারী মুসলমানদের নিয়ে গঠন করা হয় পূর্ব পাকিস্তান বেসামরিক সশস্ত্র বাহিনী। এ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ১৩ হাজার। তারা সীমান্ত ঘাটি পাহারার কাজে নিযুক্ত ছিল। দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করে। তারা গণহত্যা, লুটপাট, নারী ধর্ষণ, ইত্যাদি মানবতা বিরোধীদের কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিল।
মুক্তিযুদ্ধকে তরান্বিত করার জন্যে ১২ জুলাই প্রধান মন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে কলকাতার থিয়েটার রোডের ভারতের বি,এস,এফ,অফিসে যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকারকে ব্যবহার করতে দেয়া হয়) মুক্তিবাহিনীর অধিনায়কগণের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টর এবং ৬৬টি সাব সেক্টরে ভাগ করা হয়। ৩টি ফোর্স (ব্রিগেড) গঠন করা হয়। সেনা বাহিনীর ১১ জন দক্ষ অফিসারকে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। সেক্টর-১ মেজর জিয়াউর রহমান, সেক্টর-২ মেজর খালেদ মোশাররফ, সেক্টর-৩ মেজর কাজী মো. সফিউল্লাহ, সেক্টর-৪ মেজর চিত্ত রঞ্জন দত্ত, সেক্টর-৫ মেজর মীর শওকাত আলী, সেক্টর-৬ উইং কমান্ডার এম,কে, বাশার, সেক্টর-৭ কর্ণেল কাজী নুরুজ্জামান, সেক্টর-৮ মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, সেক্টর-৯ মেজর এম,এ, জলিল, সেক্টর-১০ বঙ্গোবসাগর বিধায় এ সেক্টরটি মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক কর্ণেল এম,এ,জি, ওসমানীর নিজ দায়িত্ব রাখেন। প্রয়োজনে তিনি নৌ কমান্ডারদের বিভিন্ন সেক্টরে সম্পৃক্ত করতেন। সেক্টর-১১ মেজর আবু তাহের। সাব সেক্টরগুলো সেনা বাহিনীর অফিসারগণের দায়িত্বে দেয়া হয়। অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্ণেল এম,এ, রবকে চিফ অব স্টাফ এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ,কে, খন্দকারকে ডেপুটি চিফ অব স্টাফ নিয়োগ দেয়া হয়। উল্লেখ্য, মেজর জিয়ার নেতৃত্বে ‘জেড ফোর্স’, মেজর কে,এম, সফিউল্লাহ ‘এস ফোর্স’ এবং মেজর খালেদ মোশাররফ এর নেতৃত্বে ‘কে ফোর্স’ গঠিত হলে ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমান এর স্থলে মেজর রফিকুল ইসলাম, ২নং সেক্টর কমান্ডার মেজর খালেদ মোশাররফ এর স্থলে মেজর এ,টি,এম, হায়দার এবং ৩নং সেক্টর কমান্ডার মেজর কে,এম, সফিউল্লাহ এর স্থলে মেজর নুরুজ্জামানকে দায়িত্ব দেয়া হয়। বেসামরিক প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১১টি অঞ্চলে বিভক্ত করে ১১ জন নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিকে আঞ্চলিক প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। ফলে মুক্তিযুদ্ধ একটি সুসংবদ্ধরূপ পরিগ্রহ করে। এছাড়া, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার এবং ভারত সরকারের সহযোগিতা ছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থান করেই কয়েকজন বীর সেনানী তাঁদের নিজস্ব প্রচেষ্টায় নিজ এলাকাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন গড়ে তোলেন এবং পাকিস্তানী সেনাদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেন। ওই সব মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন অধিনায়কের নামেই পরিচিতি লাভ করে যেমন-টাঙ্গাইলে আবদুল কাদের সিদ্দিকীর কাদেরিয়া বাহিনী, গোপালগঞ্জের হেমায়েত উদ্দিনের হেমায়েত বাহিনী, ময়মনসিংহের মেজর আফছার উদ্দিনের আফছার বাহিনী, সিরাজগঞ্জের মির্জা আবদুল লতিফের মির্জা বাহিনী, মাগুড়ার আকবর হোসেনের আকবর বাহিনী, দক্ষিণ টাঙ্গাইলের (নাগরপুর) আবদুল বাতেনের বাতেন বাহিনী, মানিকগঞ্জের ক্যাপ্টেন আবদুল হালিম চৌধুরীর হালিম বাহিনী, বরিশালের আবদুল কুদ্দুস মোল্লার কুদ্দুস বাহিনী এবং সিরাজ সিকদারের সর্বহারা বাহিনী ।

এ সব বাহিনীতে প্রায় ৫০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিল। আধুনিক অস্ত্রের অভাবে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বড় কঠিন ছিল। আদুনিক অস্ত্রের অভাবে আধুনিক অস্ত্র শস্তক্র সজ্জিত পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বড় কঠিন ছিল । অস্ত্রের অভাবে মুক্তিযোদ্ধারা অনেক সময় পিছু হটতে বাধ্য হয়। মুক্তিযো্দ্ধারা ছিলেন প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্যে উত’স্বর্গকৃত
৭ আগস্ট প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে ভারতে আশ্রিত রাজনৈতিক নেতা ও শরণার্থীদের দেশে ফিরে আসার আহবান জানান। এরপর সোভিয়েত ইউনিয়নের পত্রিকা প্রাভদা মন্তব্য করে যে, শরণার্থী সমস্যার সমাধান না হলে পাক-ভারত যুদ্ধ এড়ানোর সম্ভব নয়। স্বাধীন বাংলাদেশ ব্যতিত শরণার্থীদের ফেরত যাওয়ার সম্ভব নয়। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের আহবানে কেউ সাড়া দেয়নি। এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১২ আগস্ট জেনারেল টিক্কা খানকে প্রত্যাহার করে এবং মুসলিম লীগ নেতা ডঃ আবদুল মোতালিব মালিককে পূর্ব পাকিস্তানের গর্ভনর নিয়োগ করেন। ডাঃ মালিক মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ১০ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে নিয়ে মন্ত্রী সভা গঠন করেন।
৯ আগস্ট দিল্লীতে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ফলে অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহের ক্ষেত্রে এতদিন যে অসুবিধা ছিল তা দুর হয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তার মিত্র দেশগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহারের জন্য অস্ত্রশস্ত্র ভারতে হাতে তুলে দেয়।
ভারতের প্রধান মন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী ২৮-২৯ সেপ্টেম্বর মস্কো সফর করেন এবং সোভিয়েত ইউনিয়নকে সার্বিকভাবে বাংলাদেশের পক্ষে দাড় করাতে সক্ষম হন। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে প্রবেশ করে। পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে এক হওয়ার যে ভয় ভারত এতদিন করেছিল তা এবার দুর হয়ে গেল। ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের যৌথ উদ্দ্যোগ স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থনের একটি ভিত্তি রচিত হলো। নভেম্বর মাস পর্যন্ত ভারত ৮০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে টেনিং ও অস্ত্র দিয়েছে।
ভারত রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িয়ে পরে। কিন্তু আন্তর্জাতিক নিয়ম কানুনের জন্যে ভারত আনুষ্ঠিকভাবে বাংলাদেেশর মাটিতে সৈন্য পাঠাতে পারেনি। ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ সিদ্ধান্তে ২১ নভেম্বর ভারতীয় সেনা বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সমন্বয় যৌথ কমান্ড গঠিত হয়। মুক্তিবাহিনীর ১০টি সেক্টর ও নিয়মিত বাহিনীর ৩ টি ফোর্স (ব্রিগেড) যৌথ কমান্ডে সমন্বিত করা হয়। ৩ নভেম্বর থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকে। ভারতের প্রধান মন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী ৩ ডিসেম্বর বিকেলে কলকাতায় ইডেন গার্ডেনের প্যারেড গ্রাউন্ডে এক জনসভায় ভাষণ দেন। এ সময় তিনি জানতে পান পাকিস্তান বিনা নোটিশে এবং বিনা কারণে ভারতের অমৃতসর, পাঠানকোট, শ্রীনগর, আগ্রা, যোধপুর ইত্যাদি বিমান ঘাটিতে হামলা চালায়। তিনি বত্তৃতা সংক্ষেপ করে দিল্লীতে ফিরে গিয়ে স্থল, বিমান ও নৌবাহিনী প্রধানের সাথে আলোচনা করে ওই রাতেই জাতির উদ্দেশ্যে বেতার ভাষণে ঘোষণা করেন যে, বাংলাদেশের যুদ্ধ ভারতেরই য্দ্ধু। অতঃপর রাত সাড়ে এগারোটায় ভারতীয় বিমান বাহিনী লাহোর, করাচি, শিয়ালকোট, সারগোদা, মিয়ানওয়ালী ও রিসালপুর বিমান ঘাটি আক্রমন করে। কালবিলম্ব না করে ভারত সরকার ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করেন। ভারতীয় বিমান বাহিনী তেজগাঁও বিমান বন্দর, কুর্মি টোলা বিমান ঘাটি, গোদনাইল তেল ডিপো এবং চট্টগ্রামের ২টি পেট্রোল পাম্পে আক্রমন চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করে। ৭ ডিসেম্বর ঢাকা বিমান বন্দর ও বিমান ঘাটি নিরব ও নিস্তদ্ধ হয়ে যায়। যৌথ কমান্ডের হামলায় যশোর ও কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের পতন ঘটে। ৮ ডিসেম্বর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেতার কেন্দ্র থেকে যুদ্ধে পাকিস্তানী সৈন্যদের ব্যর্থতার সংবাদ প্রচারিত হতে থাকে। ভারতের প্রধান সেনাপতি জেনারেল শ্যাম মানেকশ পাকিস্তান বাহিনীকে আত্ম সমর্পনের আহবান জানান। এ দিন বিকেলে গভর্নর হাউজে জেনারেল নিয়াজি গভর্নর এ,এম,মালিকের সাথে বৈঠক করেন এবং প্রতিটি রণাঙ্গণে তাঁর বাহিনীর পরাজয়ের কথা স্বীকার করে যুদ্ধ বিরতির জন্যে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের নিকট তার বার্তা পাঠানোর অনুরোধ করেন। গভর্ণর তার বার্তা পাঠালেন, কিন্তু প্রেসিডেন্ট তার বার্তার গুরুত্ব দেননি। ৯ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজি প্রেসিডেন্টকে সিগন্যাল পাঠান। এ দিন রাতেই প্রেসিডেন্ট গভর্নর এ,এম, মালিক এবং জেনারেল নিয়াজিকে সিগন্যাল পাঠান। সিগন্যালে বলা হয় যে, আপনাদের জরুরী তার বার্তা পেয়েছি। আমার কাছে আপনাদের প্রেরিত প্রস্তাবের ভিত্তিতে আপনাদেরকে সিদ্ধান্ত গ্রহনের অনুমতি দেয়া হলো। আন্তর্জাতিক মহলে আমি সম্ভাব্য সব রকমের ব্যবস্থা করব। যেহেতু আপনাদের কাছ থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন রয়েছি, সেহেতু পূর্ব পাকিস্তানের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব আপনাদের বিষয়। আপনারা যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন আমি তা অনুমোদন করব।

চলবে…….
লেখকঃ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক
মোবাঃ ০১৭৩০-৯৩৫৮৮৭

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...