ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - স্বাধীনতা যুদ্ধ : যেভাবে শুরু ও বিজয়

স্বাধীনতা যুদ্ধ : যেভাবে শুরু ও বিজয়

নূর হোসাইন মোল্লা >
( চতুর্থ পর্ব )
সবাই যে স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল তা নয়। অনেকে নিরস্ত্রকৃত হয়েছেন, অনেকে বন্দি হয়েছেন, অনেকে নিহত হয়েছেন, আবার অনেকে শেষ অবধি পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছেন। যেমন লে: কর্ণেল ফিরোজ সালাহউদ্দিন (রাজাকার বাহিনী উপ-প্রধান) ক্যাপ্টেন এম,এ হাকিম, কাসেদুল ইসলাম চৌধুরী, লে.আল ফরিদ, লে. মোদাব্বের হোসেন প্রমুখ। বিদ্রোহ ঘোষণার সাথে সাথে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাঁদেরকে সীমান্ত পর্যন্ত এমনভাবে তাড়া করে নিয়ে যায়, তাঁদের পাকিস্তানে ফিরে আসার পথ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়। হয় কোর্ট মার্শাল নতুবা স্বাধীনতা এ দু’টি ছাড়া তাঁদের আর বিকল্প ছিল না। এমনিভাবে পাক হানাদার বাহিনীর আক্রমনের এক সপ্তাহের মধ্যে সামিল হয় সামরিক বাহিনী প্রধান তিনটি শাখাস্থল, বিমান ও নৌ বাহিনী,ই.পি.আর, পুলিশ, আনসার ও মুজাহাদি বাহিনীর অভিজ্ঞ প্রায় ২৫ হাজার যোদ্ধা। মেজর জিয়ার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর অঞ্চলে, মেজর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চলে, মেজর কাজী মোহাম্মদ সফিউল্লাহর নেতৃত্বে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল অঞ্চলে, মেজর আবু ওসমান চৌধুরীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে, মেজর এম,এ, জলিলের নেতৃত্বে খুলনা, বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলে, মেজর নাজমুল হকের নেতৃত্বে রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে, মেজর নওয়াজেশ আহমেদের নেতৃত্বে পাবনা ও বগুড়া অঞ্চলে এবং মেজর আহমেদের নেতৃত্বে রাজশাহী অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে ওঠে। পাকিস্তানী বিমান, নৌ এবং স্থল বাহিনীর সৈন্যরা চট্টগ্রাম শহর আক্রমন করে হাজার হাজার বেসামরিক লোককে হত্যা করে। মেজর জিয়ার নেতৃত্বে সেনা বাহিনীর বিদ্রোহ অফিসার, সৈনিক, ই,পি,আর,পুলিশ,আনসার,মুজাহিদ বাহিনী,আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগের নেতা-কর্মীরা এবং সাধারণ জনগন যে সাহসিকতার সাথে পাক বাহিনীর মোকাবেলা করেছেন তা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এ প্রতিরোধ স্ট্যালিনগ্রাডের পাশে স্থান পাবে। পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে গণহত্যা প্রতিরোধে এগিয়ে আসার জন্যে মেজর জিয়া ৩০ মার্চ জাতিসংঘ এবং বৃহত্তম শক্তিবর্গের প্রতি আহবান জানান।

মানুষকে বাঁচার জন্যে এবং সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামকে সংগঠিত করার জন্যে তাজ উদ্দিন আহমেদ ও ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম ফরিদপুর-কুষ্টিয়া হয়ে ৩০ মার্চ রাতে কলকাতায় পৌঁছেন। ৩ এপ্রিল তাঁরা দিল্লীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর সাথে সাক্ষাৎ করে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করেন। মিসেস গান্ধী তাজউদ্দিন আহমেদকে সরকার গঠনের পরামর্শ দেন। ভারত সরকার তিনটি কারণে বাংলাদেশকে সহায়তা করেন। (১) পাকিস্তানের সাথে নিরবিচ্ছিন্ন বৈরী সম্পর্ক ছিল। তাই এদেশের স্বায়ত্ব শাসন ও স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতি ভারতবাসী সহানুভূতিশীল ছিলেন,(২) সংসদীয় গণতন্ত্র এবং অসম্প্রায়িকতার প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ও কংগ্রেসের সাথে মিল ছিল, (৩) পাকিস্তানের সেনা বাহিনীর নিষ্ঠুরতায় সারা বিশ্বের মানুষ বিক্ষুদ্ধ হয়েছিল। ভৌগোলিক নৈকট্য হেতু মানবিক কারণে ভারত আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। এছাড়া,ভারত সরকার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক ও মানবিক কারণে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সার্বিক সহায়তা করেন। তাজউদ্দিন আহমেদ যখন দিল্লীতে মুক্তিযুদ্ধের সাংগঠনিক পরিকল্পনা শুরু করেন সে সময়ে অর্থাৎ ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজারের ডাক বাংলোতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী সামরিক অফিসারগনের এক নীতি নির্ধারণী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায় বিচ্ছিন্নভাবে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ যুদ্ধ একটা সমন্বিত রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে একক কমান্ডের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করা হয়। সভায় অনতিবিলম্বে নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিগনের সমন্বয় একটি রাজনৈতিক সরকার গঠনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্যে চারজন আঞ্চলিক কমান্ডারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ সভায় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সামরিক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল এম,এ,জি, ওসমানী এম,এন,এ, লে. কর্ণেল আব্দুর রব এম,এন,এ, মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর কাজী মোহাম্মদ সফিউল্লাহ, মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর কাজী নুরুজ্জামান,মেজর শাফায়াত জামিল,মেজর মাইনুল হোসেন চৌধুরী,লে. কর্ণেল সালাহ উদ্দিন, মেজর নুরুল ইসলাম শিশু, কর্ণেল রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৪ এপ্রিল পিডিপি নেতা নুরুল আমিনের নেতৃত্বে মুসলিম লীগ, জামায়াত-ই ইসলাম ও নেজামে ইসলামের ১২ জন নেতা পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক গর্ভনর লে. জেনারেল টিক্কা খানের সাথে সাক্ষাৎ করে পাকিস্তান রক্ষার স্বার্থে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
৬ এপ্রিল শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদ কলকাতায় পৌঁছে পিরোজপুর জেলা নিবাসী চিত্ত রঞ্জন সুতারের নিকট জানতে পারেন যে, তাজউদ্দিন আহমেদ প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। যুব নেতারা ক্ষুদ্ধ হন। তাঁরা প্রকাশ্যে দাবী করেন যে, সস্ত্রশ বাহিনীর ট্রেনিং এবং মুক্তিযুদ্ধ সংগঠন ও পরিচালনার জন্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র এ চারজনের ওপর দায়িত্ব অর্পন করেছেন, অপর কারও ওপরে নয়। মুক্তিযুদ্ধ শেষ অবধি তাঁদের এ দাবী ও ভূমিকা অপরিবর্তিত থাকে। এমনকি ফরিদপুর,বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের ৪২ জন এম,এন,এ তাজউদ্দিন আহমেদ কর্তৃক মন্ত্রীসভার বিরোধিতা করেন। বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন ৪ জন যুবনেতার ক্ষোভের সুযোগ গ্রহণ করেন ভারত। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশে ভারতের প্রভাব যাতে বজায় থাকে সে পরিকল্পনা প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় ভারতীয় বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর ওপর। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী যখন হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে মরণ পন যুদ্ধে লিপ্ত তখন ‘র’ প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের অজান্তে মে মাসের মাঝামাঝি ভারতীয় মিলিটারী একাডেমী শহর দেরাদুন থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে তানদুয়ায় গড়ে ওঠে মুজিব বাহিনী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামানুসারে এ বাহিনীর নামকরণ করা হয় মুজিব বাহিনী। এ বাহিনীর সংগঠক ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সুজন সিং উবান। এ বাহিনী মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিকনায়ক কর্ণেল এম,এ,জি,ওসমানী এবং ভারতের পূর্ব অঞ্চলের অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল না। এ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার। পাকিস্তান সোনাবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধ করার কোন পরিকল্পনা এ বাহিনীর ছিল না। আগষ্ট মাসের প্রথম দিকে মুজিব বাহিনী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে শুরু করে। শুরুতেই তাঁরা বিভিন্ন অঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে উভয় বাহিনীর নেতাদের আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মিটমাট হয়। মুজিব বাহিনীর কার্যকলাপ স্বাধীনতা যুদ্ধকে অনেকটা বিভক্ত করে। যে সব কারণে মুজিব বাহিনী গঠিত হয় তা নিম্নে বর্ণিত হলোঃ
১। যদি কোন কারণে আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতারা নেতৃত্বদানে ব্যর্থ হন তাহলে বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে মুজিব বাহিনী সংঘঠিত করা হয়,২। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ কোন কারণে দীর্ঘায়িত হয় এবং বাম পন্থীদের প্রভাব যদি বেড়ে তা হলে পাল্টা শক্তি হিসেবে মুজিব বাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়। ৩। স্বাধীনতা যুদ্ধের মাঝপথে আওয়ামী লীগের নেতারা বা প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার কেহ যাতে পাকিস্তান সরকারের সাথে আপোষের চেষ্টা করতে না পারেন সেজন্যে মুজিব বাহিনী গঠন করা হয়। ৪। আওয়ামী লীগের ৪ জন যুব নেতা প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারে প্রতি আস্থাবান ছিলেন না। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন তাজউদ্দিন আহম্মেদ বঙ্গবন্ধুর অনুগত নয়। তাঁদের লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর উত্তরশুরী হওয়া। তাঁরা মনে করেন স্বাধীনতা যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে। চিত্তরঞ্জন সুতারের পরামর্শে তাঁরা তাজউদ্দিন আহমেদের প্রধানমন্ত্রীত্বের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ‘যুদ্ধ কাউন্সিল’ গঠনের দাবি করেন। তাঁদের মতে মুক্তিবাহিনীতে পাকিস্তান পন্থী, অযোগ্য এবং যুদ্ধে অনাগ্রাহী ও বামপন্থীরা প্রবেশ করেছে। ৫। মুক্তিবাহিনীর এক বিরাট অংশ বামপন্থী চিন্তাধারায় সিক্ত। স্বাধীনতার পর তাঁরা ভারতের আধিপাত্যের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারে। তাঁদেরকে নিমূল করার লক্ষ্যে মুজিব বাহিনী গঠন করা হয়। মুজিব বাহিনী গঠন করে ‘র’ যা করতে চেয়েছিল তা পারেনি। কারণ মুজিব বাহিনীর ভেতরে বামপন্থীর চিন্তাধারার অনুবর্তী ছিলেন শতকরা ৮০ ভাগ।
৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পূর্ব পাকিস্তানের বিবাদমান সমস্যাকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে বিবৃতি দেয় এবং ইহা স্বাধীনতার যুদ্ধের শেষ দিন পর্যন্ত অব্যাহত রাখে। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে নৈতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সমর্থন দিয়ে যায়। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের শক্তির মধ্যে চর সৃষ্টি করে। মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী খন্দকার মোস্তাক আহমেদ এবং তাঁর সচিব মাহবুব আলম চাষী যুক্তরাষ্ট্র সরকারের গোপন অনুগত দাস হিসেবে ভেতরে ভেতরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে পাকিস্তানের সাথে আপোষ করার বিভিন্ন দিক প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেন। কিন্তু মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী সতর্ক থাকায় খন্দকার মোস্তাকের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
৯ এপ্রিল খাজা খয়ের উদ্দিনকে আহবায়ক করে ১০৪ সদস্য বিশিষ্ট গঠন করে। কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির উদ্যোগে প্রত্যকে জেলা, মহকুমা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি কমিটি গঠিত হয়। শান্তিকমিটির অধিকাংশই পাক বাহিনীর সহযোগী হিসেবে গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, লুটপাঠ ও অগ্নিসংযোগে অংশ নেয়।
১০ এপ্রিল লে. জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসক ঢাকায় আসেন। এদিন ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ রাষ্ট্রপতি( বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি), তাজউদ্দিন আহম্মেদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী, খন্দকার মোস্তাক আহম্মেদ আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী, এএইচএম কামরুজ্জামান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং কর্ণেল(অব:) এমএ.জি ওসমানীকে প্রধান সেনাপতি নিয়োগ করা হয়।
চলবে…..

লেখকঃ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...