কবিতিা
কবিতা তুমি জাগ্রত বলে
আজ শত হাজার কবি।
কবিতা তুমি একাত্তর বলে
মহান জয়ী বঙ্গবন্ধু।
কবিতা তুমি আসবে বলে
আজ আমার হাতে লেখা।
কবিতা তুমি চির উৎসব
মহিয়ান দুরন্তপনা।
তোমার ভিতরে সাহিত্যের
কখনো জোয়ার কখনো
ভাটা।
কবিতা তুমি চির ইতিহাস।
কবিতা তুমি মায়ের গল্প
বাবার স্নেহ আর ভালোবাসা।
কবিতা তুমি উদাস দুপুর
মেঘলা আকাশ হিমেল বাতাস।
কখনো তুমি রবীন্দ্রনাথ,কখনো
শরৎ কখনো বঙ্কিম।
কবিতা তুমি বাংলার ইতিহাস।
উদ্দাম নৃত্য আবার দুঃখিনী
মায়ের কোল।
মহা সাগরের ঢেউ,আবার ঘন
বস্তির কোলাহল।
বসন্তের গান ঘরোয়া বধূর
খোলা চুল।
কবিতা তুমি স্বামী হারানো
বিধবার বেশ।
কবিতা তুমি প্রেমিকার আর্তনাদ।
ভাষা আন্দোলনের প্রথম স্পর্শ।
মধ্যো বয়সী নারীর হাতছানি।
কবিতা তুমি হাজার ভাইয়ের
তাজা রক্ত,মায়ের বোনের
হারানো ইজ্জত।কবিতা
কবিতা কবিতা কবিতা
তুমি ই তো সব ই।
প্রতি রাত যে তার জন্য অভিশপ্ত
হয়ে ছিলো।আর কান্নার মিছিল।
নিস্তব্ধ হয়ে গাছের সারি শুধু
দাঁড়িয়ে ছিলো।আর আকাড়ে
ধরে ছিলো শুধু কুয়াশারা।
আর হাঁসতে হাঁসতে গা ভাসিয়ে
ছিলো ঘাসফুলের সমাহার।
এমন রাতে মা হারা বাবা হারানোর
দস্যি মেয়ে ছিলো একা।
শুধু উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে ফাঁকা
ছনের ছাউনি দিয়ে চাঁদ মামা।
খানিক বাদে মধ্যো রাত
দস্যি মেয়ে অথই ভুলে গিয়েছিলো
খানিক সময়ের জন্য প্রতি রাতেই
বাবার সমতুল্য বড় বাবু আলিঙ্গন।
অথই নামেই যেন গ্রস করেছে তাকে।
আর সে যে ঠাঁই পেলো না।
সুন্দর পৃথিবীর ছেড়ে যেতে
ইচ্ছে করছিলো না তাই শরীরের
শিহরণ শুধু বড় বাবু আলিঙ্গন করলো।
সেদিনের প্রথম রাতে অর্ধ মৃত।
আর প্রতি রাতেই বারে বার মৃত হচ্ছে।
আরো পাঁচ টি মেয়ের মত শখ আহ্লাদ
বিহীন,কাঁদিয়ে বেরাতো নিস্পন্দনের
মত। তবু ও জীবনের মায়ায় বেঁচে আছে।
তবু ও সঙ্গি বিহীন দস্যি মেয়ে ভাবতো
জীবন এতটাই কঠিন,জীবন এতটাই
মধুর। যেখানে সব পাপী লোকের উর্ধ্বে।