ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - লাখো শহীদের রক্তে জেতা মহান বিজয় দিবস আজ 🇧🇩️

লাখো শহীদের রক্তে জেতা মহান বিজয় দিবস আজ 🇧🇩️

বিশেষ প্রতিনিধি ➡️

লাখো শহীদের জীবনদানে অর্জিত বাংলাদেশের আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লাখো শহীদের রক্তে রাঙিয়ে রাতের অন্ধকার ভেদ করে বাংলার দামাল ছেলেরা কেড়ে এনেছিল ফুটন্ত সকাল। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন এটি। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন। জাতির আনন্দদিন এই জাতীয় দিবস। আজ অগ্রসর বাংলাদেশের এগিয়ে চলার দিন ।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বিকেলে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন তাঁর মন্ত্রমুগ্ধকর ভাষণে। সেই ময়দানেই একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লে. জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি আত্মসমর্পণ দলিলে সই করেছিলেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রায় ৯১ হাজার ৬৩৪ সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেছিল বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বাহিনীর কাছে। তখন উত্সবে মেতে উঠেছিল বাঙালি জাতি।

১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে ১৬ ডিসেম্বরকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করা হয়েছিল। আজ সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোর প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ সাজানো হবে জাতীয় পতাকায়। রাতে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় থাকবে আলোকসজ্জা। হাসপাতাল, কারাগার ও এতিমখানাগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বেতার ও টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। দেশবাসী অসীম শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রাণ উত্সর্গকারী শহীদদের, নির্যাতিত মা-বোনদের। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে লাখো মানুষের ঢল নামবে। সারা দেশেই মানুষ অংশ নেবে বিজয় দিবস উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বাঙালির ২৪ বছরের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটেছিল ১৯৭১ সালের এই দিনে। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছিল। কিন্তু পাকিস্তানের তত্কালীন স্বৈরশাসক বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এড়াতে নানা কূটকৌশল ও ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছিল। শেষে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে স্বাধীনতাকামী নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর ট্যাংকসহ ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী। এর পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা হয়েছিল। ঐক্যবদ্ধভাবে সম্মুখ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযোদ্ধারা ছিনিয়ে এনেছিলেন মুক্তির লাল সূর্য।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলাদা বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

মহান বিজয় দিবসে আজকের মঠবাড়িয়া পরিবার দেশের বীর শহীদদের জানাচ্ছে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

সকলকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...