পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার হাতেম আলী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত খান সাহেব হাতেম আলী জমাদ্দারের বিরুদ্ধে কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ব্যানারে আজ বৃহস্পতিবার শহরের শহীদ মিনার সম্মূখ সড়কে ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশষ নেন।
মানববন্ধন শেষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মো. বাচ্চু মিয়া আকনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, সাবেক সংসসদ সদস্য ডা. মো. আনোয়ার হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আলতাফ হোসেন আফজাল, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আ.ম ইউসুফুজ্জামান আকন, ব্যবসায়ি আফজাল হোমোন জমাদ্দার, মুক্তিযোদ্ধা মো., লুৎফর রহমান, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আরিফ-উল-হক, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন খান,শিক্ষক নেতা আব্দুল লতিফ সিকদার, প্রভাষক ইকতিয়ার হোসেন পান্না, বণিক সমিতির সভাপতি শামসুল হক, শিক্ষিকা খাদিজা বেগম খুশবু, জাতীয় পার্টিও সভাপতি নাজমুল আহসান কবির, প্রেস ক্লাব সভাপতি আবদুস সালাম আজাদী, রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আকন ও স্চ্ছোসেবক লীগ সভাপতি আলাউদ্দিন আল আজাদ প্রমূখ।
সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, মঠবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী হাতেম আলী মাধ্যািমক বালিকা বিদ্যালয়টি সম্প্রতি সরকার জাতীয় করণের ঘোষণা দেয়। এতে স্থানীয় কেএম লতিফ ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষ ঈর্ষান্বিত হয়ে বালিকা বিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। এর অংশ হিসেবে বালিকা বিদ্যালয়টি৬ প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত খান সাহেব হাতেম আলী জমাদ্দারকে স্বাধীনতা বিরোধি উল্লেখ করে সম্প্রতি স্থানীয় কে.এম লতিফ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান গত ৩ অক্টোবর হাইকোর্টে একটি রীট করেন। হইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শুনানী শেষে গত ১৭ অক্টোবর বালিকা বিদ্যালয়টি জাতীয় করণের কার্যক্রম স্থগিতাদেশের আদেশ দেন। যা অত্যন্ত দু:খজনক। সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন মঠবাড়িয়ার হাতেম আলী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত হাতেম আলী জমাদ্দার মঠবাড়িয়ার জননন্দিত নেতা। তিনি তিনি স্থানীয়ভাবে বহু ধর্মীয়, সামাজিক উন্নয়ন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে বিপন্ন মুক্তিকামী মানুষের আশ্রয়দাতা সর্বমহলে এমন একজন গ্রহণযোগ্য মানুষের নামে কটুক্তি করার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হাইকোর্টের রীট প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়