বিশেষ প্রতিনিধি>>
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা জুড়ে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ চলছে। অবিরাম ভারী বর্ষণে পিরোজপুর,বরগুনা,বাগেরহাট ও পটুয়াখালী এলাকার জীবন যাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। টানা বৃষ্টিপাতে মানুষজন এখন ঘরবন্দী। এচাড়া বৃষ্টিপাতে যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও অচল।মানুষের যাতায়াত নেই বললেই চলে। সেই সাথে বিদ্যুত বিতরণ ব্যবস্থাও নাজু পরিস্থিতি। ফলে জনজীবনে স্থবিরাতা দেখা দিয়ে। উপকূলের নিম্নাঞ্চলে প্লাবন দেখা দিয়েছে।
জানাগেছে, পায়রা সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সর্তক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এর প্রভাবে পটুয়াখালীতে দুই দিন ধরে দফায় দফায় দমকা হাওয়াসহ ভারি ও টানা হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে।
জোয়ারের সময় ৩/৪ ফুট উচু ঢেউ সাগরে তীরে আছড়ে পড়ছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত ২০ মিলি মিটার বৃস্টিপাত রেকর্ড করেছে কলাপাড়া রাডার স্টেশন।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, সকল ট্রলার মালিক ও জেলেদের মোবাইলের পাশাপাশি মাইকিং করে সর্তক করে উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। তবে সাগরে মাছ ধরার বেশিরভাগ ট্রলার উপকূলে আশ্রয় নিয়েছে।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মাঝের চর ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের ওয়ারলেস অপারেট আব্দুল হালিম জানিয়েছে, বলেশ্বর নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলেরা প্রবলবৃষ্টিতে আজ নদীতে মাঝ ধরতে নামতে পারেনি। নদী তীরবর্তী নিম্ন আয়ের মানুষজন কর্মহীন অবস্থায় ঘরে বন্দী হয়ে পড়েছেন।