আজকের মঠবাড়িয়া অনলাইন >>
আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। আজ বাঙালির শৃঙ্খলমুক্তির দিন। মুক্তিযুদ্ধ সূচনার গৌরবের দিন।
১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের বুকে স্বাধীন অস্তিত্ব ঘোষণা করেছিল বীর বাঙালি। সূচনা করেছিল সশস্ত্র সংগ্রামের।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আজ সরকারি ছুটির দিন। নানা আনুষ্ঠানিকতায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে।সারা দেশের স্মৃতিসৌধগুলোতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দল ও সংগঠন এসব কর্মসূচি পালন করছে।
এবার জাতি উদ্যাপন করছে স্বাধীনতার ৪৪ বছর পূর্তি। স্বাধীনতা দিবস সাধারণত উৎসবমুখর আবহে উদ্যাপিত হয়। কিন্তু এবার স্বাধীনতা দিবস এক অস্থির রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্তে পড়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে আতঙ্কময় পরিবেশ। প্রায় তিন মাস ধরে চলছে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধ। পেট্রলবোমায় পুড়ছে দেশের নিরীহ মানুষ। বিরোধী জোটের দাবি, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেই এই আন্দোলন। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দাবি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে এই আন্দোলন।
১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার নিভৃত এক আমবাগানে শপথ নেয় নবগঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, তাঁর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত এই সরকারের নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ আনুষ্ঠানিক কাঠামো লাভ করে। তাদের নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে আত্মপ্রকাশ করে।