আল আহাদ বাবু >>
আঁকাশ সংস্কৃতির ছোঁয়ায় আধুনিকতার নামে সাংস্কৃতিক অঙ্গন এখন চিত্তবিনোদন নয় অনৈতিক বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।
ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্রের দাপট সামলাতে আমাদের দেশের চলচ্চিত্রও তাদের থেকে কম যাচ্ছে না,নাটকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মানগত দিক দিয়ে অনেকাংশে এগিয়ে থাকলেও ইন্ডিয়ান সিরিয়ালের কাছে আত্নসমর্পণ করতে যাচ্ছে।
মিডিয়ার যুগে এসে মনে হচ্ছে_এ দেশেও এখন সংস্কৃতি চর্চার প্রতিযোগিতা নয়,বরং অশ্লীলতা চর্চার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে
। শিশুতোষ কার্টুনেও অশ্লীল দৃশ্যের অবতারণা করা হচ্ছে,জ্ঞানচর্চার উন্নত মাধ্যম হিসেবে ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু হলেও এটা এখন তরুণসমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। অরুচিকর ওয়েবসাইটগুলো এর উপকারিতাকে ম্লান করে দিচ্ছে ।
সাহিত্যকেও অশ্লীলতায় পরিপূর্ণ করতে কেউ কেউ অতি উৎসাহীর ভূমিকা পালন করছেন।আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে এসবের বিষয়ে এখনি সচেতনভাবে ভাবতে হবে!
গানের কথা না বললেই নয়;হিন্দী গানের ভিড়ে বাংলা গান কিছুটা ম্রিয়মান হলেও আশার দিক যে_শিশু-কিশোর ও তরুনদের একটি বৃহৎ অংশ ভারতীয় অশ্লীল হিন্দী গান থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে রাখতে চেষ্টা করছে।
তারা আদর্শিক বাংলা গান শোনা এবং চর্চা করাকে নিজেদের জন্য কল্যাণকর বলে মনে করছে।
এর মাধ্যমে তাদের যেমন নৈতিকতার বিকাশ ঘটছে তেমনি দেশপ্রেমও তৈরি হচ্ছে সমান তালে,এটা ভীষণ আশার দিক।
এ তরুণরাই একদিন এদেশ থেকে অপসংস্কৃতিকে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে! সেই তারুণ্যের জয়গানে অপসংসংস্কৃতি পরিহার করে আমাদের আপন লোকজ সংস্কৃতি টিকিয়ে রাথতে সক্ষম হবো।
>লেখক:আল আহাদ বাবু,মঠবাড়িয়া সরকারী কলেজ]