খালিদ আবু, পিরোজপুর প্রতিনিধি >
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়য়ায় ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ে দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে কনের বাবা, নানা ও বরের চাচাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। শুক্রবার রাতে উপজেলা শহরের ব্র্যাক অফিসের সন্নিকটে কাজী অফিস থেকে পুলিশ অভিযুক্তদের এদের আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম ফরিদ উদ্দিন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেক কে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন। আজ শনিবার দন্ডিতদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে
আটকৃতরা হলো, কনের বাবা বড় মাছুয়া গ্রামের মো. রুহুল আমীন, ভূক্তভোগি স্কুল ছাত্রীর নানা দক্ষিন মিঠাখালী গ্রামের আবদুল গনি ও বরের চাচা পৌর শহরের সবুজনগর মহল্লার মো. আব্দুল বারেক ।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে জানান, মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া এলাকার রুহুল আমীনের ৮ম শ্রেনী পড়–য়া ছাত্রী জেসমিন আক্তারের (১২) সাথে ঘোষের টিকিকাটা গ্রামের আঃ আজিজের ছেলে আবদুল কাদের এর বিয়ে ঠিক হয়। শুক্রবার রাত আটটার দিকে বর পক্ষ ও কনে পক্ষ মিলে মঠবাড়িয়াা শহরের ব্রাক অফিসের সন্নিকটে কাজী অফিসে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ের আয়োজন করেন।
এসময় কাজী ওবায়দুল্লাহ কনে জেসমিনের জন্ম সনদে বয়স কম হওয়ায় বিয়ে পড়াতে রাজি হননি। তখন দুপক্ষই বিয়ে পড়ানোর জন্য বিয়ের কাজীকে চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে এ নিয়ে সেখানে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কনের বাবা বড় মাছুয়া এলাকার রুহুল আমীন, নানা দক্ষিন মিঠাখালী এলাকার আবদুল গনি ও বরের চাচা সবুজনগর এলাকার আবদুল বারেককে আটক করে। এসময় বরের বাবা আবদুল আজিজ ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।
’মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সততা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতরা বাল্য বিয়ের আয়োজন করেছিল। শুক্রবার রাতে ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম ফরিদ উদ্দিন অভিযুক্তদের প্রত্যেককে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। আজ শনিবার দন্ডিতদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।