ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - মঠবাড়িয়ার সিএন্ডবি স্ট্যান্ডে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ইউপি সদস্য সহ অাহত-১৫

মঠবাড়িয়ার সিএন্ডবি স্ট্যান্ডে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ইউপি সদস্য সহ অাহত-১৫

মোঃ রাসেল সবুজ : মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কের সিএন্ডবি বাজার এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার হোতখালী বাস স্ট্যান্ডে তুচ্ছ ঘটনা জের ধরে ৪ঘন্টাব্যাপী দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ও গুরুতর আহত ৪জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গুরুতর আহত মঠবাড়িয়া উপজেলার হোতখালী গ্রামের রহমান(৩০), দক্ষিণগুলিসাখালী গ্রামের শহিদুল খান(৩৫), পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর গ্রামের শিমুল(১৮) ও রনো(৩৮)কে বরিশাল প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ মাহমুদ ফরাজীর ছোট ভাই দক্ষিণ গুলিসাখালী গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য ইয়াকুর ফরাজী(৫০), একই গ্রামের বাবুল(৩০), শহিদুল ফরাজী(৩০), চুন্নু(৩৮), দুলাল(২৫), জুয়েল(২৩), এমাদুল ফরাজী(৩৫), বাবু(২৫) ও রায়হানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুপকের ভাগিনা ফেরদৌসকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানাগেছে, মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কের সিএন্ডবি বাস স্ট্যান্ডের আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মঠবাড়িয়া উপজেলার গুলিসাখালীর হোতখালী ও পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর এলাকার লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পাথরঘাটা থেকে আসা বাসের দুই যাত্রীর মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।হোতখালী বাস স্ট্যান্ডের স্টাফ শাহজাহান বিষয়টি ফয়সালা করার চেষ্টা করেন। এতে বাধ সেধে রায়হানপুর এলাকার রনো নামের এক যুবকের সাথে শাহজাহানের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।পরবর্তীতে এখবর ছড়িয়ে পড়লে রায়হানপুর এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে হোতখালী এলাকার লোকজনের ওপর হামলা চালায়।পরে হোতখালী এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে রায়হানপুর এলাকার লোকজনের ওপর হামলা চেষ্টা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।দুপুর বারটা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৪ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে এলাকায় রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়।সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ও গুরুতর আহত ৪জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ মাহমুদ ফরাজী আজকের মঠবাড়িয়াকে বলেন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে আমি গুলিসাখালীর নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনো ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদেরকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাশ্ববর্তী পাথরঘাটা উপজেলার ১নং রায়হানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রুপকের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করি। কিন্তু পরবর্তীতে রায়হানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ইন্ধোনে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৬০-৭০জনের একটি দল আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার ভাইসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে।

এব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলার ১নং রায়হানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রুপকের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো৷পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে৷

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...