ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - ভান্ডারিয়ায় ঈদ সামনে রেখে স্ক্র্যাচ কার্ডে প্রলোভনের পণ্য !

ভান্ডারিয়ায় ঈদ সামনে রেখে স্ক্র্যাচ কার্ডে প্রলোভনের পণ্য !

ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধি <>
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ঈদ উপলক্ষে ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে প্রলোভন দেখিয়ে পণ্য বিক্রির নামে জুয়া চলছে বলছে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ১ নম্বর ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাপালিরহাট বাজার হাই স্কুলের শহীদ মিনারের পাশে একটি ঘরে স্ক্র্যাচ কার্ড দিয়ে পণ্য বিক্রির নামে জুয়া চলছে। স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় মাদারীপুর জেলার কয়েক জন যুবক এই জুয়ার ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
জানাগেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার প্রশাসনের কোনও অনুমতি না নিয়ে ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে পণ্য করছেন। তাদের কাছে নেই কোন বৈধ্য কাগজপত্র এমনি ব্যবস্যা পরিচালনা করার ট্রেড লাইসেন্সও নেই বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার কাপালির হাট হাই স্কুল সংলঘœ আধাপাকা একটি ভবনের দুটি কক্ষে সার্ভিস ফর অল (সেফা) কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান ঈদকে সামনে ১৫দিন পূর্বে স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করে। এতে নি¤œ মানের ইলেকট্রনিকস ও ক্রোকারিজ পণ্যসহ নানা ররকম পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। কার্ডে হেড অফিসের ঠিকানা ৮৮/৪ উত্তর যাত্রাবাড়ি, ঢাকা-১২০৪ উল্লেখ করা হয়েছে। উপজেলার ভিটাবাড়িয়া গ্রামের পুরো মাঠপর্যায়ে নানা কৌশলে প্রচারণা চালিয়ে এ ব্যাবসায়ি চক্র স্ক্র্যাচ কার্ড কিনতে সাধারণ গাঁয়ের সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে । আয়োজকদের দেওয়া তথ্য ও ব্যানার-ফেস্টুনে লেখা নিয়ম অনুসারে, গ্রাহক বা ক্রেতাকে প্রথমে প্রতিষ্ঠানটির সদস্য হতে ৫০ টাকার একটি কার্ড কিনতে হয়। ক্র্যাচ কার্ড ঘষলে যে পণ্যের নাম বের হবে তা নিতে ১হাজার ৩৯৯ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। আর ক্র্যাচ কার্ডে কোনো পণ্যের নাম না উঠলে ১০০ টাকা ফেরত দেওয়া হয় গ্রাহককে।
ভূক্তভোগিরা জানানম ক্র্যাচ কার্ড ঘষে পাওয়া পণ্যের দাম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার বেশি নয়। অথচ পাঁচ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা মূল্যেরও লোভনীয় পণ্য রাখা হয়েছে। দামি পণ্য কারো ‘ভাগ্যে’ জোটে না।
স্থানীয় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, রিপন মিয়া ও কাইয়ুম হোসেন জানান, গ্রামের সাধারণ মানুষ লোভে পড়ে এ কার্ড কিনতে ভিড় করছে। দামী পণ্য পাওয়ার আশায় স্কুলের ছাত্র ছাত্রীসহ স্থানীয় লোকজন এই কার্ড কিনে প্রতারিত হচ্ছেন । কারও ভাগ্যে দামি পণ্য জুটছেনা।
সার্ভিস ফর অল (সেফা) কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপক পরিচয়দানকারী মো. সুমন মিয়া বলেন, ভান্ডারিয়া ইউএনও, ওসি অনুমতি নিয়েই আমরা এ পণ্য বিক্রয় করছি। এটা জুয়া খেলা নয়। এটা স্ক্র্যাচ কার্ড দিয়ে পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র।’ অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই সব ঢাকা হেড অফিসে জমা আছে।’ প্রতিষ্ঠানটির মোবাইল ফোন নম্বর চাইলে বলেন, হেড অফিসের নিষেধ আছে।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান বলে, এ বিষয়ে কোনও অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। খোঁজ নিয়ে এটা কর ও শুল্ক বিভাগ কে আবহতি করা হবে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...