পিরেজপুর প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান সিকদারের বিরুদ্ধে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে উৎকোচ গ্রহণসহ অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। শনিবার সন্ধ্যায় পিরোজপুর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইন্দুরকানী সরকারী কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ইন্দুরকানী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আ. লতিফ হাওলাদার।
এসময় কলেজ ম্যানেজিং কমিটির কমিটির সদস্য মো. মনিরুজ্জামান, এবং কলেজ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকরামুল কবীর মজনু উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে আ. লতিফ হাওলাদার জানান, কলেজের অধ্যক্ষ সাবেক জামায়াত নেতা ও যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর নিকট আত্মীয় মনিরুজ্জামান সিকদার গত ২০০৬ সালে সাঈদীর সুপরিশে সাবেক জিয়ানগর বর্তমান ইন্দুরকানী কলেজে উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। সে সময়ে তিনি জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার মজিদা বেগম মহিলা কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পূর্বের কর্মস্থল থেকে কোন প্রকার ছাড়পত্র না নিয়েই তিনি ইন্দুরকানী কলেজে উপাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ নেন।
পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে জামায়াত নেতা মনিরুজ্জামান সিকদার ভোল পাল্টে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের আর্শিবাদে তৎসময়কার পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর-ইন্দুরকানী-নাজিরপুর) আসনের সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়ালের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদে এবং তার আশির্বাদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হন এবং উপাধ্যক্ষ থেকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেন। অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেই তিনি বিভিন্ন সময়ে কলেজে উৎকোচ গ্রহণ করে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া কলেজের আয়ের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন। কিনেছেন নিজের নামে-বেনামে কয়েক একর জমি, শ^শুরবাড়ী মঠবাড়িয়ায় ১২/১৪ একর জমি এবং নিজ জামাতার মাধ্যমে খুলনায় বাড়ি কিনেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উলেবলখ করেন। তার এ অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে দুদকসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলেও জানান সংবাদ সম্মেলনে।
খালিদ আবু