মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া মো. গোলাম মোস্তফা (৫৮) নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের চা›ন্দখালী গ্রামে ওই শিক্ষকের বসত ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ উদ্বার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি অজ্ঞাত কারনে সে সে আত্মহত্যা করেছে। নিহত শিক্ষক গোলাম মোস্তফা চান্দুখালী গ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে । সে তিন ছেলে সন্তানের জনক । সে মঠবাড়িয়ার ৯৮ নম্বর চান্দখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত । দুই বছর পওে তার চাকুরিতে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, শিক্ষক গোলাম মোস্তফার তিন ছেলে সকলেই ঢাকায় চাকুরি করেন। সে তার স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। রোববার রাতে তারা আহার সেরে ঘরের দোতলায় ঘুমিয়ে পড়েন। আজ সোমবার ভোররাতে স্ত্রী হাওয়া বেগম ঘরের দোতলা থেকে নিচে নেমে ফজরের নামাজ পড়েন। নামাজ শেষে দোতলায় উঠে ঘরের আড়ার সাথে স্বামীর লাশ ঝুলতে দেখেন। এসময় তিনি ডাক চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত স্কুল শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মাজাহার আমিন(বিপিএম) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে । ওই শিক্ষকের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা যায়নি । তবে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।