পাথরঘাটা প্রতিনিধি >>
বরগুনার পাথরঘাটা পৌর ছাত্র দল নেতা মো. আসাদুল্লাহর (২৩) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারো গেছেন। মৃত্যুর সঙ্গে ১৪ দিন লড়ার পর শুক্রবার সকাল ১১টায় মারা যান তিনি।
পাথরঘাটা পৌর ছাত্র লীগের সহ সাধারণ সম্পাদকের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি গুরুতর আহত হন আসাদুল্লাহ। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ৬ নম্বর শয্যায় আইসিউতে আসাদুল্লাহ মারা যান।
আসাদুল্লাহর বড় ভাই মো. হাসান মিয়া আজ দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবারই মৃতদেহ নিয়ে বরগুনার পাথরঘাটায় উদ্দেশে রওনা হবেন বলে তিনি জানান।
আসাদুল্লহ পাথরঘাটা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মুমূর্ষু অবস্থায় আইসিউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পৌর ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মো. সোহাগ মিয়া ওরফে আতুর সোহাগ ও তার সহযোগী রুবেল কুটিয়াল প্রকাশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আ. গণি হাওলাদারের বাড়ির সামনে আসাদুল্লাহকে কুপিয়ে ফুসফুস, কিডনি ও হৃৎপিণ্ডে মারাত্মক জখম করে এবং ডান পায়ের রগ কেটে দেয়। সেই থেকে সোহাগ ওরফে আতুর সোহাগসহ তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছে।
ঘটনার দিন রাতে আসাদুল্লাহর বাবা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার পাঁচজনকে আসামি করে পাথরঘাটা থানায় মামলা করেন। সোহাগের সহযোগী রুবেলের বাবা ওই মামলার ৩ নম্বর আসামি মো. জাহাঙ্গীর খানকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পাথরঘাটা থানার ওসি মোল্লা মো. খবীর আহম্মেদ বলেন, ‘ঘটনার পরই সন্ত্রাসী আতুর সোহাগের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রামদাসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হলেও সোহাগকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘সোহাগ ও তার সহযোগী রুবেল কুটিয়ালকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’