পাথরঘাটা(বরগুনা)প্রতিনিধি >>
জেলে বহরে হানা দিয়ে ট্রলারে থাকা ৫ জেলেকে নদীতে ফেলে ডাকাত দল ট্রলার লুট করে নিয়ে গেছে। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সুন্দরবনের সংলগ্ন দরজার খালের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
ট্রলারের মালিক বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার জ্ঞানপাড়া গ্রামের মো. জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। থানায় জিডি করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু পাথরঘাটা থানা জিডি না নিয়ে শরণখোলা থানায় যেতে বলেছে।
ট্রলার মালিক মো. জাকির হোসেন বৃহস্পতিবার সকালে জানান, তার নাম বিহিন ট্রলারটি সাগরে মাছ ধরতে গেলে বুধবার দিবাগত রাত ২টার সময় জাল পাতার প্রস্তুতি নিচ্ছিল । এমন সময় অতর্কিতে এক দল সশস্্র ডাকাত তাদের ট্রলারের উপর চড়াও হয়। প্রথমে সকল জেলেকে একটি কক্ষে আটক করে পরে আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে যখম করে নদীতে ফেলে দেয়। ডাকাত দল ট্রলারটি চালিয়ে সুন্দরবনের মধ্যে চলে যায়। ট্রলারে থাকা মাছ, জাল,মোবাইল ফোন সহ সমুদয় মালামাল নিয়ে যায়। মালিক জানান ট্রলার সহ মালামালের মূল্য আনুমানিক সাড়ে ৩ লাখ টাকা। নদীতে ফেলেদেয়া জেলেরা প্রচন্ড শীতের মধ্যে স্বাপদশংকুল বনে আগুন জালিয়ে রাত পার করে ভোরে বনবিভাগের চান্দেশ্বর অফিসে আশ্রয় নেয়।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম জানান, সুন্দরবন বাগেরহাট জেলোর শরণখোলা এলাকা বিধায় ট্রলার মালিককে শরনখোলা যেতে বলা হয়েছে।
বনবিভাগের সুন্দরবনের চান্দেশ্বর ক্যাম্পের বনকর্মকর্তা মো.খোরশেদ টেলিফোনে কালেকন্ঠকে বলেন, জেলেদের কথিত মতে জানা যায়, তাদের জলদস্যূরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে নদীতে ফেলে দিয়ে ট্রলার লুট করে নিয়ে যায়। তাদেরকে সেবা দিয়ে সুস্থ করে মালিক পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নদীতে ফেলে দেয়া জেলেদের নাম মো. রুবেল (৩২), মো. বাচ্চু মুন্সি (৩৫), মো. কালু মিয়া (২৮), মো. বাবুল (৩০) ও আ. ছালামকে (৪৮) ।তাদেরবাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
সুন্দরবনে কোষ্টগার্ডের কচিখালী ক্যাম্পের দায়িত্বরত পেটি অফিসার বৃহস্পতিবার( দুপুর ১২ টায়) টেলিফোনে কালেরকন্ঠকে বলেন, ট্রলার লুটের খবর পেয়ে জেলেদের নিয়ে সন্দেহজনক এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে লুন্ঠিত ট্রলার বা ডাকাতের সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। তবে চেষ্টা অব্যহত আছে।##