মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ >>
আমি প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই সেই নেপোলিয়ন এর উক্তিটি তিনি বলেছিলেন, “আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব” । তাঁর উক্তি অনুযায়ী আমাদের প্রত্যেকের দরকার একজন সু-শিক্ষিত মেয়ে বিয়ে করা,তাহলেই আমাদের ছেলে মেয়েরা একজন শিক্ষিত মা পাবে। এবং সু-শিক্ষিত হয়ে গড়ে ওঠতে পারবে,এইজন্যই যে শিশুদের জীবনের প্রথম শিক্ষক হল “মা”। এইবার আসি মূল কথায় বর্তমান জীবনে আমাদের সমাজের দিকে তাকলেই দেখা যায় প্রতিনিয়ত বাল্যবিবাহ হচ্ছে,৬ষ্ঠ-৮ম এবং বেশিতে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে তারপর ভাল কোন সম্পর্ক আসলেই মা-বাবা কোন কিছু চিন্তা না করেই বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে,আর এই কারনেই সে শারিরীক-মানসিক অশান্তিতে ভোগে,এরপর তার কোল জুড়ে আসে এক শিশু,সে এখনো নিজেকে সামলাতে পারে আর কিভাবে সামলাবে তার শিশুকে আর এর কারণে দুজনেই ভোগে পুষ্টিহীনতাই। তারপরেও যে কোন ভাবে বড় হয়ে ওঠে সে,এইবার তার দরকার হয় শিক্ষার,কে দিবে এই শিক্ষা তার “মা”সে তো নিজেই একজন অশিক্ষিত, তার কারণ এই হয় যে সে তার সন্তানকে কোন সু-শিক্ষা দিতে পারে না যার কারনে সে থেকে যায় মূর্খ, তার দ্বারা এই পৃথিবীতে ভাল – মন্দ বুঝা হয়ে ওঠে দুঃসহ, যার কারনে সে জড়িয়ে পড়ে খারাপ কার্যক্রমে, যার কারণ ভোগতে তার পরিবার সমাজ ও জাতিকে। সুতরাং এই থেকে বলা যায় এই বাল্যবিবাহের কারনেই এই সব ধরনের খারাপ কাজ হয়ে থাকে।
তাই আমরা যদি নেপোলিয়নের উক্তি অনুসারে শিক্ষিত জাতি গঠন করতে চায় অবশ্যই,আমাদেরকে আমাদের সন্তনদেরকে একজন শিক্ষিত মা দিতে হবে এবং শিক্ষিত মায়ের শিক্ষায় গড়ে ওঠবে শিক্ষিত জাতি,আর আমরা (বাল্যবিবাহ)অশিক্ষিত মেয়ে বিয়ে করি তাহলে তা কোন প্রকারেই সম্ভব না শিক্ষিত জাতি গঠন করা।
সুতরাং শেষ পর্যায়ে এটাই বলব “শিক্ষিত মা দ্বারাই সম্ভব শিক্ষিত জাতি গঠন করা”তাই আমরা যদি বাল্যবিবাহ থেকে দূরে থাকি মেয়েরা হয়ে ওঠতে পারে সুশিক্ষিত এবং তারা বিয়ের পর তাদের শিশুদের গঠন করতে পারবে শিক্ষিত জাতি হিসেবে ।
কোন ধরনের ভুল বললে আমি আপনাদের নিকট ক্ষমা প্রার্থী।
লেখক > মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ,পাঠাগার আন্দোলন কর্মী ও কলেজ শিক্ষার্থী ।