মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সামুদ্রিক মাছ চকচকে রাখতে রঙ আর তাজা রাখতে ফরমালিন মিশিয়ে প্রকাশ্যে বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। পৌর শহরের মাছ বাজারের প্রকাশ্যে ফরমালিন ও বিষাক্ত রঙ মিশিয়ে স্থানীয় কতিপয় অসাধু মাছ ব্যবসায়ি এ মাছ বাজারজাত করলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।
দবে প্রশাসন দাবি করেছে মাছের ফরমালিন ও বিষাক্ত রঙ পরীক্ষার কোন যন্ত্রপাতি না থাকায় তারা এর বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে পরছেনা। ফলে ক্রেতারা বাধ্য হয়ে ফরমালিন ও ক্ষতিকারক রঙ মেশানো মাছ খেয়ে পেটের নানা পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের বীমা কর্মকর্তা মিলন চৌধুরীর মৌখিক অভিযোগ পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা মাছ বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখেন, অসাধু মাছ ব্যবসায়ী রাসেল (২৫) সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই প্রকাশ্যে সামুদ্রিক মরমা (স্থানীয় নাম) ও পোয়া,তপসে মাছে বিষাক্ত রং মাখছেন। মাছে কেন রঙ জানতে চাইলে মাছ বিকক্রেতা রাসেল বলে, মাছ চকচক রাখতেই রঙ মেশাতে হচ্ছে। এসময় রাসেলের সহোদর রাজিব (১৮) ক্ষুব্দ হয়ে বলেন, ভাই সবকিছুতেই তো ভেজাল তা দেখেন না ! আপনারা শুধু মাছটাই দেখেন!
তাৎক্ষনিক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি মাছ বাজারে পুলিশ পাঠান। তবে পুলিশ রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া পৌরসভার স্যানিটারী ইন্সপেক্টার রাম কৃষ্ণ সাহার সাথে মুঠো ফোনে কয়েকব দফা যোগাযোগ করলেও দাকে পাওয়া যায়নি।
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৌমিত্র সিংহ জানান, ক্ষতিকারক রঙ মেশানো মাছ খেলে মানুষের পেটের নানাবিধ পীড়া, কিডনী ও লিভারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, ইউএনও মহোদয় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন এমর্মে পুলিশ চাইলে আমি তাৎক্ষনিক মাছ বাজারে পুলিশ পাঠাই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ফরিদ উদ্দিন বলেন, মাছে ফরমালিন কিংবা রাসায়নিক কোন রঙ পরীক্ষার যন্ত্রপাতি না থাকায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছেনা। একারনে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালতও পরিচালনা করা যায়নি।