ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - পিরোজপুরে স্কুল ছাত্র প্রিন্স হত্যা মামলায় দুই জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত

পিরোজপুরে স্কুল ছাত্র প্রিন্স হত্যা মামলায় দুই জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত

পিরোজপুর প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরে স্কুল ছাত্র সাদনাম সাকিব প্রিন্স হত্যা মামলায় দুই জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ বুধবার দুপুরে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ মো: গোলাম কিবরিয়া এ আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো শহরের আদর্শপাড়ার শফিকুল আলম হাওলাদারের বড় ছেলে নাজমুল হাসান নাঈম ও ছোট ছেলে নাফিজ হাসান নাহিদ । মামলার চার্যশিটভুক্ত অপর আসামী নাহিদ ও নাঈমের পিতা শফিকুল আলম হাওলাদারকে মামলা দিয়ে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। আদালতের বিচারক অপর এক আদেশে হত্যার আলামত নষ্ট করা অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামী দুই ভাই নাহিদ ও নাঈম কে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
নিহত সাদনাম সাবিক প্রিন্স (১৪) পিরোজপুর শহরের আদর্শপাড়ার জাকির হোসেন সরদার লিটনের পুত্র এবং পিরোজপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ১০ শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী খান মো: আলাউদ্দিন (পিপি) জানান, ২০১৩ সালের ২৯ আগষ্ট আসামী নাহিদ আদর্শপাড়া থেকে বাসা থেকে প্রিন্সকে ডেকে তাদের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আসামী নাহিদের সাথে ক্রিকেট খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নাহিদ প্রিন্সের মুখমন্ডল ও চোখ বরাবরে কিল-ঘুষি মারলে প্রিন্স পাশে থাকা খাটের উপরে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে নাহিদ বিষয়টি ঘরে থাকা তার বড় ভাই নাঈম কে জানালে দুই জনে মিলে তাদের ব্যবহৃত লুঙ্গি, জামা ও গামছা দিয়ে প্রিন্সের মুখমন্ডল ও হাত-পা বেধে ঘরের খাটের নিচে ফেলে রাখে। পরে প্রিন্সের মৃত্যু নিশ্চিত হবার পরে রাতে নাহিদ ও নাঈম দুজনে একটি কাঠের ফ্রেমের সাথে প্রিন্সের মৃত্যদেহ বেধে ইট দিয়ে বাসার পাশে সিআইপাড়ার রায় পুকুরে লাশ গুম করার জন্য ডুবিয়ে দেয়। ওইদিন অনেক খোঁজা-খুজিঁর পরে প্রিন্সকে না পেয়ে প্রিন্সের বাবা মো: জাকির হোসেন পিরোজপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করে। ঘটনার দুই দিন পরে ০১ সেপ্টেম্বর পুকুরের ঘাটের পাশে প্রিন্সের লাশটি ভেসে ওঠলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করলে স্থানীয়রা এটি প্রিন্সের লাশ বলে শনাক্ত করে। ০২ সেপ্টেম্বর প্রিন্সের বাবা মো: জাকির হোসেন সরদার পিরোজপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই মো: মনিরুজ্জামান ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই শহরের আদর্শপাড়া শফিকুল আলম হাওলাদার এবং তার ছোট ছেলে নাফিজ হাসান নাহিদ ও বড় ছেলে নাজমুল হাসান নাঈমকে আসামী করে চার্জশীট দাখিল করে।
এ মামলায় মোট বাদী সহ ১৪ জনের সাক্ষী শেষে বিচারক নাফিজ হাসান নাহিদ ও নাজমুল হাসান নাঈম কে ফাঁসির আদেশ এবং তাদের বাবা শফিকুল আলম হাওলাদার কে মামলা দিয়ে অব্যাহতি দেয়। রায় ঘোষনার সময় আসামী নাহিদ উপস্থিত থাকলেও অপর আসামী নাঈম পলাতক রয়েছে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...