মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিদেশে লোভনীয় বেতন-ভাতার চাকুরীর স্বপ্ন দেখিয়ে ফরিদ আকন নামে এক আদম ব্যাপারী লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন স্বপ্নের ফাঁদে পড়ে ২০/২৫ যুবক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এমনকি প্রতারিত যুবকরা তাদের সমুদয় অর্থ ফেরত চাইতে গিে উল্টো প্রাণনাশের হুমকির শিকার হচ্ছেন অভিযোগ উঠেছে । উপজেলার ধানী সাফা ইউনিয়নের আলগী পাতাকাটা গ্রামে ঘটেছে এ প্রতারণার ঘটনা।
এ ব্যপারে প্রতারনার প্রতিকার চেয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগি যুবকরা।
এ ঘটনায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগীরা সহ সহ¯সহস্রাধিক গ্রামবাসি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাচ্চু মিয়া আকন এর মধ্যস্থতায় সালিশি বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে প্রতারক ফরিদ আকনের সম্পত্তি বিক্রি করে পাওনাদারের দেনা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় এবং বংশের সুনাম নষ্ট করায় গ্রাম থেকে ফরিদ আকনকে প্রত্যাখ্যানেরও শালিস বৈঠকে দাবি ওঠে।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আলগী পাতাকাটা গ্রামের ফারুক আকনের ছেলে প্রতারক ফরিদ এলাকার বেকার যুবকদের ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে ২০/২৫ জনের কাছ থেকে পাসপোর্ট জমা নেয়। এরপর গত ২০১০ সালে ওই পাসপোর্টধারীদের মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে আড়াই লাখ থেকে ৯ লাখ পর্যন্ত টাকা উত্তোলন করে প্রায় ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে প্রত্যেককে ভূয়া ভিসা ও বিমান টিকেট হাতে ধরিয়ে দিলে তারা বিমান বন্দরে গিয়ে প্রতারনার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
এ ঘটনায় স্থানীয় শালিস বৈঠকে মানব পাচারকারী ফরিদ আকনের কাছে সমুদয় টাকা ও পাসপোর্ট ফেরত চাইলে সে দীর্ঘদিন ধরে টাল-বাহানা করতে থাকে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রতারক ফরিদ আকনের আত্মীয় রফিকুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় আলগী বাজারে ফরিদ আকনের কাছে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরৎ চাইলে তাদের গালমন্দ করে টাকা দেবনা বলে ফিরিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে এলাকার ইউনুচ মিয়া, বাবুল আকন, হাফেজ ও ইউসুফসহ ভুক্তভোগী অনেকেই জানান, প্রবাসী প্রতারক ফরিদ সবারকে লোভনীয় বেতন-ভাতার স্বপ্ন দেখিয়ে সু-কৌশলে মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাঠানো কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন টাকা ফেরত চাওয়ায় উল্টো প্রাণনাশের হুমকির শিকার হচ্ছেন।
সালিস বৈঠকের মধ্যস্থতাকারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাচ্চু মিয়া আকন প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে পারিবারিক ও স্থানীয় সালিস বৈঠকের মাধ্যমে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
মঠবাড়িয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভূক্তভোগিদের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।