নিজস্ব প্রতিবেদক: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বেসরকারি সংস্থা রূপান্তরের উদ্যোগে “Reducing Pollution and Improving Ecology of the Sundarban” শীর্ষক শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা কৃষি অফিস মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সাইফুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন বেল্লাল হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মঠবাড়িয়া উপজেলা বন কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র মিস্ত্রি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জেরিন ইসলাম, মঠবাড়িয়া বণিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সমিতির সদস্য মোঃ শাহিন রেজা এবং কবি ও পরিবেশকর্মী মেহেদী হাসান।
সভায় বক্তারা সুন্দরবনকে দূষণমুক্ত ও টেকসইভাবে সংরক্ষণে নানামুখী দিক তুলে ধরেন। প্রধান অতিথি সুরেশ চন্দ্র মিস্ত্রি বলেন, “সুন্দরবনের বনজ সম্পদ শুধু স্থানীয় মানুষ নয়, গোটা দেশের অর্থনীতি ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন থেকে কাঠ, মাছ বা মধু সংগ্রহ অবশ্যই নিয়ম মেনে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে করতে হবে।”
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জেরিন ইসলাম বলেন, “প্রকৃতি রক্ষার অন্যতম উপায় হলো বিকল্প জীবিকাকে উৎসাহিত করা। সুন্দরবনের ওপর চাপ কমাতে পরিবেশবান্ধব কৃষি ও গ্রামীণ উদ্যোগ বাড়াতে হবে।”
বণিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ জানান, “অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষার বিষয়টিও সমান গুরুত্ব পেতে হবে। ব্যবসায়ীরা সচেতন হলে কাঠ বা ভাঙ্গারি ব্যবসায় থেকেও দূষণ অনেকটা কমানো সম্ভব।”
পরিবেশকর্মী কবি মেহেদী হাসান বলেন, “সুন্দরবন বাংলাদেশের প্রাণভূমি। এ অরণ্য রক্ষায় শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যুবসমাজের অংশগ্রহণ এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।”
সভায় অংশ নেন কাঠ ব্যবসায়ী, বনজীবী, মৎস্যজীবী, মধু সংগ্রহকারী, ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী এবং রূপান্তরের ইউথ ফর সুন্দরবন মঠবাড়িয়া শাখার সদস্যরা। বক্তব্য রাখেন প্রজেক্ট অফিসার শাহিদা বানু সোনিয়া।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাইফুল ইসলাম, বেল্লাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল অভি, মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, ইমদাত হোসেন রাব্বি, রিমন হোসেন, শাকিল খান, পূজা সাওজাল বৃষ্টি, রিমা আক্তার, জান্নাতুল ইসলাম, সুমাইয়া আক্তার (স্বপ্না), সাথী আক্তার, হামিদা আক্তার (শানু) এবং জান্নাতুল ফেরদৌসী।
বক্তারা একমত হন যে সুন্দরবন শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক সম্পদ। এর সুরক্ষায় বনজীবী, স্থানীয় জনগোষ্ঠী, ব্যবসায়ী ও তরুণদের সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি। পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে গ্রামীণ পর্যায়ে আরও প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালু করার আহ্বান জানানো হয়।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.