
ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধিঃঃ পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় উপজেলার পৈকখালী গ্রামের খাল থেকে উদ্ধারকৃত মস্তকবিহীন অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় মিলেছে। তার নাম আলতাফ হোসেন
(৪০)। সে উপজেলার উত্তর পৈকখালী গ্রামের মৃত খালেক হাওলাদারের ছেলে ।
মরদেহ উদ্ধারের একদিন পরে বুধবার রাতে তার বোন খাদিজা বেগম এবং ভাই ফোরকান হাওলাদার তার লাশ সনাক্ত করেন। পুলিশ এ ঘটনায় ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
নিহতের ভাই ফোরকান হাওলাদার জানান, আলতাফ তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে চট্টগ্রামে বসবাস করতেন। শুক্রবার সে বাড়ীতে (পৈকখালী গ্রামে) আসে এবং সোমবার প্রথম পক্ষের শ্বশুর বাড়ী থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে সে আর ফিরে আসেনি। তার স্বজনরা মনে করেছে সে চট্টগ্রামে ফিরে গেছেন।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামে আলতাফ এর দুটি শ্বশুর বাড়ী এবং দুইজন স্ত্রী রয়েছে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সে চট্টগ্রামে বসবাস করতেন। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর চার ছেলে-মেয়ে রয়েছে। এলাকাবাসী জানায় আলতাফ একটি হত্যা, চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। উপজেলার চড়াইলে ডাকাতিসহ ইউছুব মোল্লাকে গুলি করে হত্যা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে বাড়ীতে এসে এ হত্যাকান্ডের শিকার হয়। পুলিশ দুই শ্বশুর-শ্বাশুরীসহ মোট ৬ জনকে থানায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার দুপুরে ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশ পৈকখালী গ্রামের ভারানী খালের কাওসার ফরাজির মসজিদের ঘাটের পাশে ভাসমান আলতাফের মাথা বিহীন মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের বাম হাতের রগ কাটা, বিবস্ত্র এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার্স ইন চার্জ (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হত্যাক রহস্য উৎঘাট ও আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে চট্রগ্রামের তার বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র আইনে মামলা আছে।







Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.