ব্রেকিং নিউজ
Home - অন্যান্য - জনস্বাস্থ্য - বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি এক্স-রে মেশিন অচল

বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি এক্স-রে মেশিন অচল

বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি >
বরগুনার বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি এক্স-রে মেশিন গত আট বছর ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে। টেকনিশিয়ান না থাকায় অকার্যকর এক্স-রে মেশিন দুটি বর্তমানে ধংশ স্তুপে পরিনত হয়েছে। অথচ গত নয় বছর যাবত একজন টেকনিশিয়ান প্রতিমাসে নিয়মিত বেতন ভাতাদি এ কর্মস্থল হতে উত্তোলন করে আসছেন।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, গত প্াঁচ বছরে ওই পদে কর্মরত টেকনিশিয়ানকে বার বার প্রেষণে বদলী দেখানো হয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারী দ্বিতীয়দফা প্রেষণে বদলীর শেষে সকালে যোগদান করে কর্তৃপক্ষ ওইদিন বিকালে আবার তাকে তৃতীয়দফায় প্রেষণে বদলী করে। কার্যত প্রেষণে বদলীর ফাঁদে এভাবেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে বিভাগ আট বছর ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে। ফলে সরকারী হাসপাতালে এক্স-রে সেবা না থাকায় দরিদ্র রোগিদের চিকিৎসকের পছন্দ অনুযায়ী বেসরকারী ডায়গনিস্টিক সেন্টারের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে দুটি এক্সে-রে মেশিন রয়েছে । ১৯৮৫ সালে একটি এক্সে-রে মেশিন স্থাপনের পর ২০০৪ সালে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন আরো একটি এক্স্রে-রে মেশিন স্থাপন করা হয়। ওই দুই মেশিন স্থাপনের পর যথারীতি চালু না রাখায় অকোজো হয়ে পড়ে থাকে। এমন কি গত আট বছর ধরে এক্সে-রে মেশিন অপারেটর দফায় দফায় প্রেষণে বদলীর কারনে হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগ কার্যত অচল । এছাড়া ওই পদে কর্মরত টেকনিশিয়ান প্রকাশ মন্ডল গত আট বছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও তিনি ওই পদের বেতন ভাতা বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রতিমাসে নিয়মিত উত্তোলন করছেন।
সূত্রে জানাগেছে,বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন অপারেটর প্রকাশ মন্ডল ২০০৭ সালের ১৭ মে যোগদান করেন। পরে ২০০৮ সালে ৩ ফেব্রুয়ারী তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে প্রেষণে বদলী হন। ফলে হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগের র্কাক্রম বন্ধ হয়ে যায়। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগের কারনে সেনাবাহিনী প্রশাসনিক উদ্যোগ নিয়ে প্রেষনে বদলী হওয়া ওই টেকনিশিয়ানকে বামনা হাসপাতালে এনে হাসপাতালের এক্্ের-রে বিভাগ চালু করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষের দিকে ওই টেকনিশিয়ান অজ্ঞাত কারনে আবার কর্মস্থল ত্যাগ করে ঢাকায় অবস্থান করেন। এমন অবস্থায় বামনা হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগ পূনঃরায় অচল হয়ে পড়ে। এরপর টেকনিশিয়ান আর কর্মস্থলে আসেননি। তবে হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগ অকার্যকর থাকলেও এ দীর্ঘ সময় ধরে কর্মরত টেকনিশিয়ান এ কর্মস্থল হতে সরকারী বেতন ভাতাদি নিয়মিত উত্তোলন করেছেন। সর্বশেষ পাচঁবছর পরে কর্মরত টেকনিশিয়ান ২০১৩ সালের ১৯ ফ্রেবুয়ারী আকস্মিক হাসপাতালে যোগদান করেন এবং ওইদিন বিকালে তিনি আবার প্রেষণের বদলীর ফাঁদ পেতে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
বামনা হাসপাতালে টেকনিশিয়ানের অভাবে এক্সে-রে সেবা বন্ধ থাকায় দরিদ্র রোগীদের বেসরকারী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অধিক মূল্যে এক্সে-রের কাজ সারতে হয়।
হাসপাতালে এক্সে-রে কক্ষটি পরিদর্শন করে দেখাগেছে, অপরিসর কক্ষের মেঝেতে পানি জমে আছে। তার উপড়ে দাড়িয়ে আছে দুটি এক্স-রে মেশিন। অপারেটরের অভাবে মেশিন দুটির যন্ত্রপাতি সম্পূর্ন বিনষ্ট হয়েগেছে ।
বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হুমায়ুন কবির শাহীন বলেন, বহু বছর পর্যন্ত টেকনিশিয়ান না থাকায় এক্স-রে মেশিন দুটি বিনস্ট হয়ে পড়ে আছে। আমি বামনা এসে জেনেছি প্রেষণে থাকা টেকনিশিয়ান এখন উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য ঢাকায় অধ্যয়নরত আছেন।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...