আল আহাদ বাবু »
সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে আধুনিক গবেষণাগার গড়ে তুললে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূলে অর্থাৎ এক নম্বর অবস্থানে সুন্দরবনের নামই উচ্চারিত হতো! সম্প্রতি গবেষণায় জানা গেছে, সুন্দরবনের প্রধান গাছ সুন্দরী বৃক্ষের পাতা ও শ্বাসমূলে এমন কিছু ভেষজ উপাদান রয়েছে যা (টাইপ-২) ডায়াবেটিস সারিয়ে তুলতে বিশেষভাবে কার্যকর হতে পারে।
মজার ব্যাপার হলো সুন্দরীর পাতা,শ্বাসমূলসহ অন্যান্য অংশেও এমন কিছু উপাদান আছে যা সুগার লেভেল স্বাভাবিক করে দেয়।কিন্তু স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে আরো কমিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার বিপদ ডেকে আনে না, ডায়াবেটিস সারাতে সুন্দরী গাছের এমন ঔষধি গুনের কথা চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর আগে কখনো জানা যায় নি ।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পাঁচ বছর ধরে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে গবেষণাটি চালানো হয়। কেওড়ার ফলেও ডায়াবেটিস সারান সম্ভব বলে জানা গেছে, এছাড়া আমাদের সুন্দরবন অংশের বাসিন্দাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের মাধ্যমে জানা যায়_আরো অনেক তথ্য তত্ত্ব ।তার মধ্যে«পশুর গাছ»এর ছাল/পাতা ও শ্বাসমূলকে আমাশয়ের ডাক্তার মশাই বলা হয়, গোল গাছের রস ও গুড় ঔষুধিগুন সম্পন্ন,তা ছাড়া সুন্দরবনের প্রসিদ্ধ মধু তো রয়েছেই!তাই সুন্দরবনের জন্য স্থায়ীভাবে আধুনিক গবেষণাগার গড়ে তোলা একান্ত দরকার
লেখক:আল আহাদ বাবু, শিক্ষার্থী, মঠবাড়িয়া সরকারী কলেজ।