খালিদ আবু, পিরোজপুর >
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া সরকারী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র রুবেল আকন হত্যা মামলায় রায়ে আদালত তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড ও চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও জজ আদালতের বিচারিক হাকিম এস.এম জিল্লুর রহমান এ রায় দেন। ফাঁসির আদেশ প্রাপ্তরা হলেন মঠবাড়িয়ার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের ডালিম জমাদ্দারের ছেলে মিরাজ জমাদ্দার, হারুন হাওলাদারের ছেলে আবদুল জলিল ও মান্নান পহলানের ছেলে আবুল কালাম এবং যাবজ্জীবন আদেশ প্রাপ্তরা হলেন- জাহিদুল ইসলাম, রিয়াজ, মান্নান ও ফারুক । আদালত দণ্ডিত সকল আসামীকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
ফাঁসির দ- প্রাপ্তদের মধ্যে মামলার প্রধান আসামী মিরাজ জমাদ্দার বর্তমানে পলতক রয়েছে। বাকি আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। এসময় নিহত রুবেলের পরিবারের স্বজনরাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে,পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান আকনের ছোট ছেলে কলেজ ছাত্র রুবেল আকনকে(১৮) ২০০৮ সালের ২২ জুন রাত আনুমানিক আটটার দিকে অভিযুক্ত মিরাজ জমাদ্দার ও রিপন খান পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে অভিযুক্ত আসামীরা পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ খালে ভাসিয়ে দেয়।
পরের দিন সকালে উপপজেলার বড়মাছুয়া এলাকার শাখারিকাঠি ভাড়ানী খালে নিখোঁজ কলেজ ছাত্র রুবেলে লাশ গ্রামবাসি ভাসতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে নিহত রুবেলের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত রুবেলের বাবা মো. হাবিবুর রহমান আকনের বাদি হয়ে ওই দিন একই গ্রামের ডালিম জমাদ্দারের ছেলে মিরাজ জমাদ্দার ও ফারুক খানের ছেলে রিপন খানসহ সাত জনকে অভিযুক্ত করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
পুলিশ সাতজনকে অভিযুক্ত করে ২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
বাদী পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন সরকারী কৌশলী এ্যাডভোকেট আলাউদ্দীন খান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার ততকালীন উপপরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সাতজনকে অভিযুক্ত করে ২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
নিহত কলেজ ছাত্র রুবেল রুবেলের বড় ভাই মিজানুর রহমান পিন্টু আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আজকের মঠবাড়িয়াকে বলেন, কারও ভাইয়ের যেন এমন অমানবিক ও অবৈধ মৃত্যু আর না হয়।