ইসরাত জাহান মমতাজ 🔻
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ঘোষের টিকিকাটা গ্রামের মা শিল্পী বেগম ও মো. হাবিবুর রহমানের হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান মো. মেরাজ (৪)। ছোট শরীর নিয়ে মেরাজের হাসতে, কাঁদতে ও অন্য শিশুদের মতোই দৌড়-ঝাপ ও খেলতে পারার কথা। কিন্তু সে অন্য শিশুদের মতোই বেড়ে উঠতে চায়। কিন্তু সে স্বাভাবিক জীবন নিয়ে বেড়ে উঠতে পারছে না। সেরেব্রাল পলসি (cerebral palsy) নামক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ায় শরীর অস্বাভাবিক। হাটতে, বসতে ও শক্ত খাবার খেতে পারেনা। মেরাজের বাবা মো. হাবিবুর রহমানের ২০১৪ সালে হার্ট এ্যাটাক হয়। তার হার্ট সেভনটি পারসেন্ট ব্লক।ডাক্তার উন্নত চিকিৎসা ও থেরাপি দিতে বলেছেন। এ অবস্থায় তার বাবার পক্ষে শিশুটির চিকিৎসা খরচ চালাতে পারছে না। মেরাজের মায়ের আবেদন, আমার শিশুটিকে এক বছর বয়সে ঢাকা বঙ্গবন্ধ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা করলে সেরেব্রাল পলসি (cerebral palsy) রোগ ধরা পড়ে। এ অবস্থায়শিশুটির চিকিৎসা করতে গিয়ে গ্রামের তিন কাঠা ধানি জমি ছিল তা বিক্রি করে দিয়েছি। বসত বাড়ি ছাড়া তাদের এখন কিছুই নেই। মেরাজের বাবা কোন কাজ করতে পারে না। তাই খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করছে। ভিজিডির জন্য আবেদন করলও তা তাদের ভাগ্যে জোটেনি।তবে চিকিৎসক বলেছেন দীর্ঘ দিনের ধারাবাহিক চিকিৎসায় এই রোগ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ছেলেকে উন্নত চিকিৎসা ও থেরাপি দিতে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন। তবে আমার পক্ষ ছেলে ও তার বাবার চিকিৎসা ব্যয় বহন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তার সাথে পরিবারের ভরন পোষণ বহন করা দুরূহ হয়ে পরেছে। তাই তিনি নিরুপায় হয়ে ছেলের চিকিৎসার জন্য সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন।
সাহায্য পাঠাবার বিকাশ নম্বর-০১৭৩৫৬০৬০৩৯