ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূলের মুখ - ভাঙাচোরা পলিথিন মোড়া ঘরে দুই প্রবীণের কস্টের জীবন !

ভাঙাচোরা পলিথিন মোড়া ঘরে দুই প্রবীণের কস্টের জীবন !

দেবদাস মজুমদার 🔴

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার টিকিকাটা ইউনিয়নের ছোটশিংগা গ্রামের দিনমজুর জুলফিকার প্যাদা(৬৮) ও পিয়ারা বেগম (৬০) ভাঙাচোরা পলিথিন মোড়া ঘরে দুঃসহ জীবন কাটছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাত্র তিন শতাংশ জমির মালিক বৃদ্ধ দিনমজুর জুলফিকার প্যাদার আটহাত ভাংড়াচোরা ঘর। ঘর নয় খড়কুটো আর পলিথিন ছাউনির ঘরে তারা দুপরের খড়তাপে পোড়ে । খুপড়ি ঘরে যেখানে রান্না সেখানেই তাদের খাওয়া দাওয়া আবার সেখানেই ঘুম। ঘরহীন এ বৃদ্ধ দম্পতির আজও প্রধানমন্ত্রীর ঘরের তালিকায় নাম ওঠেনি।

বৃদ্ধ জুলফিকার প্যাদা জানান, আবাদের জমি না থাকায় গাঁয়ে কৃষি শ্রমিকের কাজ করে কোনো মতে জীবিকা নির্বাহ করেন। সম্প্রতি প্রতিবেশী এক প্রতিপক্ষের সাথে বসতির জমির সীমানা নিয়া বিরোধ হয়। এ নিয়ে ঝগড়া বিবাদে প্রতিপক্ষ বৃদ্ধ জুলফিকারের ডান পায়ে রগ কেটে দেয়। সেই থেকে খুঁড়িয়ে হাঁটেন তিনি। এমন অবস্থায় ঠিকমতোন দিনমজুরীও মেলেনা। দুই বছর আগে একমাত্র ছেলে ইকবাল হোসেন চট্রগ্রামে শমিকের কাজ করতেন। সেখানে লিফট দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ছেলে জুলফিকার। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে।

জুলফিকারের স্ত্রী পিয়ারা বেগম আক্ষেপ করে বলেন, মোরা বয়স্কভাতাও পাইনা। দশ টাকার চাউলও দেয়না। ঘর নাই। শীতে মরি, রৌদ্রে মরি। গরীবের দেখার কোনো মানুষ কি নাই । মোরা কি সরকারের ঘরও পামুনা।

এ ব্যাপারে স্থানীয় টিকিকাটা ইউনিয়নের –পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হানিফ মাল বলেন, তারা অসহায় । এখনও বয়স্কভাতার তালিকায় নাম ওঠেনি। নতুন তালিকা হলে নাম উঠানোর ব্যবস্থা করবো।
তাদের ঘরটি বসবাসের অনুপযোগি। ঘরের জন্য তারা কাগজপত্র ছাড়া শুধু ছবি জমা দিয়েছেন তাই প্রধানমন্ত্রীর ঘরের তালিকায় তাদের নাম নাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) আকাশ কুমার কুণ্ড বলেন, প্রবীণ দম্পতি ঘরের জন্য আবেদন করেছে কিনা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘরহীন মানুষ ঘর পাবে এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...