ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূলের মুখ - মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক সঞ্জয় কুমার হাওলাদার

মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক সঞ্জয় কুমার হাওলাদার

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ দরকার।এজন্য দরকার শিক্ষক নামক কারিগর।আর এমনই একজন মানুষ গড়ার কারিগর সন্জয় কুমার হাওলাদার। তাঁর বর্তমান কর্মস্হল ৯৯ নং তাফালবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।২৭.০৩.১৯ ইং তারিখে প্রধান শিক্ষক হিসেবে বর্তমান কর্মস্হলে যোগদান করেন তিনি।

পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের পাঁচশতকুঁড়া গ্রামে জন্ম এই গুনী শিক্ষকের। বাবা মৃত.যতীন্দ্রনাথ মাষ্টার ও মা ঊষা রানী হাওলাদারের ৪র্থ সন্তান তিনি।বাবা যতীন্দ্রনাথ উপজেলার ৮৭ নং মধ্য সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে ১৯৯৫ সালে অবসর গ্রহন করেন এবং ২০১৫ সালে মারা যান।
সন্জয় কুমার হাওলাদাররা ৬ ভাই -বোন।৬ জনই সরকারি চাকুরিজীবি। এর মধ্যে ৪ ভাই ও ২ বোন।বড় ভাই বাবুল চন্দ্র হাওলাদার ঢাকা মিরপুরের বিসিআইসি কলেজের প্রফেসর।মেঝ ভাই শিশির রন্জন হাওলাদার ঢাকা মিরপুরের রোটারী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক।আর এক ভাই শংকর চন্দ্র হাওলাদার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্য।বড় বোন ৮৭ নং মধ্য সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা এবং ছোট বোন মতিঝিল আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধান শিক্ষক সন্জয় কুমার হাওলাদার বাবার কর্মস্হল ৮৭ নং মধ্য সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৫ সালে প্রাথমিকের পাঠ চুকিয়ে ১৯৮৬ সালে ভর্তি হন মঠবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ কে,এম,লতীফ ইনস্টিটিউশনে।সেখান থেকে ১৯৯১ সালে এসএসসি পাস করেন তিনি।ভর্তি হন মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজে।মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে ১৯৯৪ সালে আই,এ ও ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে ১৯৯৬ সালে বি,এ পাস করার পর ১৯৯৮ সালে বিএড কোর্স সম্পন্ন করেন। ১৯৯৯ সালে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন।মঠবাড়িয়া উপজেলার ১০ নং বোলমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে চাকুরি জীবন শুরু করেন তিনি।
২ সন্তানের জনক সন্জয় কুমার হাওলাদার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের সন্তানের মতই সুদৃষ্টি দিয়ে সোনার মানুষ গড়তে চান।বর্তমান কর্মস্হলে যোগদান করার অল্প সময়ের মধ্যেই জরাজীর্ন বিদ্যালয়টিকে প্রানচান্ঞ্চল্য করে তোলেন।প্রত্যান্ত অন্ঞ্চলে অবস্হিত বিদ্যালয়টির একদিকে রয়েছে সবুজ গাছপালা আর তিন দিকেই সোনালী ফসলের মাঠ।একদিকে প্রকৃতির মুক্ত হাওয়া আর অন্যদিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ মন কেড়ে নেওয়ার মত।
প্রধান শিক্ষক সন্জয় কুমার হাওলাদার জানান,”১৫ কি.মি পথ পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে যথাসময় নিয়মিত আসার চেষ্টা করি।ভাল ছাত্রদের ভাল করার চেয়ে প্রত্যান্ত অন্ঞ্চলের ছেলে মেয়েদের সোনার মানুষ হিসেবে তৈরি করতে পাড়াটা আসল কৃতিত্ব।”

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...