ব্রেকিং নিউজ
Home - অনির্বাচিত - বজ্রপাত থেকে বাঁচতে করনীয় !

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে করনীয় !

আজকের মঠবাড়িয়া ডেস্কঃ বজ্রপাত সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা তথ্যে জানা যায়, বিশ্বে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় বাংলাদেশে।বাংলাদেশে প্রতিবছর মার্চ থেকে মে পর্যন্ত প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৪০ বার বজ্রপাত হয়।বজ্রপাতপ্রবণ অঞ্চলে বাংলাদেশের অবস্থান।আর তাই বজ্রপাতের সময় কী করা উচিত এবং কী নয় এ বিষয়ে ধারণা থাকা খুবই জরুরি।মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে প্রবেশের আগমুহূর্তে ঘন কালো মেঘ দেখলেই সাবধান হতে হবে।সাধারণত চৈত্র মাস থেকে শুরু করে গ্রীষ্ম মৌসুম জুড়ে (চৈত্র-বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ) ও আষাঢ়ের প্রথম দিক পর্যন্ত অসংখ্য বজ্রপাত হয়ে থাকে।এ সময় বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যুর হারও স্বাভাবিক কারণে বেশি।

বজ্রপাতের সময় করণীয়

বজ্রপাত হলে মাথা ঠাণ্ডা রাখুন, ভড়কে যাবেন না। আশপাশে উঁচু কোন গাছ থাকলে, তার থেকে দূরে সরে যান। ওপরে ছাদ আছে এমন জায়গায় চলে যান। সম্ভব হলে টিনের ছাদ এড়িয়ে চলুন। গাড়ির ভেতরেও নিরাপদ, গাড়ির ধাতব বডির সাথে শরীরের সংযোগ না থাকলেই হলো।

শুধু গাছ নয়, যেকোন উঁচু জিনিস যেমন বিদ্যুতের খুঁটি, টাওয়ার – এসব থেকে দূরে থাকুন।

ঘনঘন বজ্রপাতের সময় যদি ঘরের ভেতরে থাকেন, তাহলে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি যেমন মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, কর্ডলেস ফোন, ল্যান্ডফোন ব্যবহার না করাই ভালো।

আশপাশে নদী, পুকুর বা কোন জলাশয় থাকলেও সেখান থেকে দূরে সরে যেতে হবে।

বজ্রপাতের আগ মুহূর্তের লক্ষণগুলো ভালোভাবে জেনে রাখা উচিত।আশপাশে বজ্রপাত হওয়ার আগের মুহূর্তে কয়েকটি লক্ষণে তা বোঝা যেতে পারে।যেমন : বিদ্যুতের প্রভাবে আপনার চুল খাড়া হয়ে যাবে, ত্বক শিরশির করবে বা বিদ্যুৎ অনুভূত হবে।

বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অক্ষুণ রাখার জন্য বজ্রপাত প্রাকৃতিক চার্জ হিসেবে কাজ করে। তাই বজ্রপাতকে কখনোই প্রতিরোধ করা যাবে না। তবে উপস্থিত বুদ্ধি ও কৌশল জেনে সময়মতো কাজে লাগিয়ে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।

Leave a Reply

x

Check Also

ভাণ্ডারিয়ায় ধর্ষণের নিপীড়নের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পৈচাশিক নিযার্তন ও ধর্ষণ, কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণ, শামীমাবাদে ...