ব্রেকিং নিউজ
Home - অনির্বাচিত - সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর কিভাবে লিখবে? (এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য)

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর কিভাবে লিখবে? (এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য)

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা যারা এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে যাচ্ছো, তাদেরকে অবশ্যই সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। তোমরা সুন্দর সু-শৃঙ্খলভাবে যদি সৃজনশীল প্রশ্নে উত্তর লিখতে না পারো তাহলে ভাল ফলাফল করা সম্ভব নয়। আর তাছাড়া প্রশ্নে উত্তর যদি কৌশলগতভাবে না লেখা হয় তাহলে ভাল নম্বর পাওয়াও সম্ভব নয়। তাই তোমাদের জন্য আজকের আয়োজন, সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর কিভাবে লিখবে?
প্রথমেই আমরা জেনে নেই সৃজনশীল প্রশ্ন কি?
যে প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্মরণ শক্তির সাথে নতুন কিছু তৈরি করার ক্ষমতা, যুক্তি প্রদর্শনের ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত দেবার ক্ষমতা, সংশ্লেষণ, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করার ক্ষমতা যাচাই করা যায় তাকে সূজনশীল প্রশ্ন বলা হয়।

সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশ্নপত্রে দুই ধরনের প্রশ্ন থাকে একটি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন এবং অপরটি সৃজনশীল প্রশ্ন। বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্রের তিন ধরনের বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকে। এগুলো হচ্ছে-
১) সাধারণ বহুনির্বাচনী প্রশ্ন।
২) বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনী প্রশ্ন।
৩) অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনী প্রশ্ন।
সাধারণ বহুনির্বাচনী প্রশ্ন: সাধারণত বহুনির্বাচনী প্রশ্ন শুরু হয় প্রশ্নের আকারে অথবা অসম্পূর্ণ ব্যাখ্যা দিয়ে। আর এই প্রশ্ন অথবা অসম্পূর্ণ বাক্যটিই উদ্দীপক ও নির্দেশক হিসেবে কাজ। করে তবে অসম্পূর্ণ বাক্য দিয়ে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন না করাই ভালো। উদ্দীপকের পরে থাকে চারটি বিকল্প উত্তর। যার মধ্যে একটি মাত্র সঠিক। শিক্ষার্থীদের জ্ঞানস্তর যাচাই করার জন্য সাধারণ বহুনির্বাচনী প্রশ্ন করা হয়। আবার কোন কোন সময় অনুধাবন করার জন্যও এ ধরনের প্রশ্ন করা হয়। এ ধরনের প্রশ্ন সরাসরি পাঠ্যপুস্তক থেকে করা হয়। এজন্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারলে সাধারণ বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর সহজ হবে।
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনী প্রশ্ন: বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনী প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের স্মৃতি নির্ভরতা কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের প্রশ্নের শুরুতে একটি বাক্যাংশ/অসম্পূর্ণ বাক্য থাকে। এরপর তিনটি তথ্য/বিবৃতি/ধারণা দেয়া হয়। তিনটি তথ্য/বিবৃতি/ধারনার একটি/দুইটি/তিনটিই সঠিক হতে পারে। তথ্য/বিবৃতি/ধারণাসমূহ কে সাজিয়ে চারটি বিকল্প উত্তর তৈরি করা হয়। ৪টি বিকল্প উত্তর থেকে শিক্ষার্থীকে একটি বাছাই করতে হয়। এ ধরনের প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা যাচাই করা সম্ভব। এ জন্য শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের প্রতিটি অংশ ভালোভাবে বুঝে অধ্যায়ন করতে হবে। তাহলেই শিক্ষার্থী বন্ধুরা বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে বলে আমি মনে করি।
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনী প্রশ্ন: অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনী প্রশ্ন একটি উদ্দীপক/দৃশ্যকল্প/সূচনা বাক্য/অনুচ্ছেদ দিয়ে শুরু হয়। এ ধরনের বহুনির্বাচনী প্রশ্নের একটি উদ্দীপক/দৃশ্যকল্প/সূচনা বাক্য/অনুচ্ছেদ থেকে অনেকগুলো প্রশ্ন করা যায়। উদ্দীপকটি হতে পারে সংক্ষিপ্ত একটি অনুচ্ছেদ/মানচিত্র/সারণি/লেখচিত্র/ছবি /ডায়াগ্রাম ইত্যাদি। প্রশ্ন প্রনেতা নিজেও উদ্দীপক তৈরী করে নিতে পারেন অথবা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা/রেফারেন্স বই/প্রবন্ধ/গল্প/ছোটগল্প/ উপন্যাস/নাটক/রেডিও/টেলিভিশন বিজ্ঞাপন/চলচ্চিত্র ইত্যাদি থেকে নিতে পারবেন। সৃজনশীল উদ্দীপকের উপর ভিত্তি করে প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা স্তরের মানসম্পন্ন, কার্যকর প্রশ্ন প্রণয়ন করা যায়। অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ক্ষেত্রে উদ্দীপক শিক্ষার্থীর সামনে একটি নতুন পরিস্থিতি উপস্থাপন করে। যে পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী তার পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান প্রয়োগ করতে পারে/পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান ব্যবহার করে নতুন পরিস্থিতি বিশ্লেষণ, নতুন পরিস্থিতিতে যুক্তি প্রদর্শন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও মূল্যায়ন করতে পারে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অভিন্নতথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে পাঠ্যপুস্তকের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে পুরোপুরি দখল/আয়ত্তে নিতে হবে যার কোন বিকল্প নেই।
আমাদের দেশে বর্তমানে প্রচলিত প্রতিটি সৃজনশীল প্রশ্নের প্রথম অংশে একটি নতুন পরিস্থিতিমূলক উদ্দীপক/দৃশ্যপট থাকে এবং দ্বিতীয় অংশে উদ্দীপকের সাথে চারটি প্রশ্ন থাকে। প্রশ্ন চারটি দিয়ে চিন্তন দক্ষতার চারটি স্তর (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা) যাচাই করা হয়।
জ্ঞান স্তর
জ্ঞান বলতে পূর্বের শেখা কোন বিশেষ তথ্য বা অভিজ্ঞতা স্মরণ করার মানসিক ক্ষমতাকে বুঝায়। জ্ঞান স্তর হল অত্যন্ত সহজ যা নিতান্তই স্মৃতিনির্ভর। এটি হল চিন্তন দক্ষতার সর্বনিম্ন স্তর। এর অর্থ হচ্ছে পূর্বের জানা কোন কিছু স্মরন করা। এর মধ্যে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত সেগুলো হলো- সাধারন শব্দসমূহ, বিশেষ তথ্য, তত্ত¡, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া, ধারণা এবং নীতিমালা ইত্যাদি স্মরণ করা বা চিনতে পারা। জ্ঞান স্তরের প্রশ্ন তৈরি করা সহজ। প্রশ্নটি স্মৃতিনির্ভর হলেও প্রশ্নটিই স্মৃতিনির্ভর হলেও সেটা যেন অর্থবহ এবং শিক্ষনীয় হয়। জ্ঞান স্তরের প্রশ্নের উত্তর সরাসরি পাঠ্যপুস্তকে থাকবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাক্রমের আওতায় পাঠ্য বইয়ের বিষয়বস্তু ভালোভাবে অধ্যায়ন করলেই জ্ঞান স্তরের উত্তর সহজে দিতে সক্ষম হবে। জ্ঞান স্তরের উত্তর শিক্ষার্থীরা এক থেকে তিন বাক্যের মধ্যে শেষ করবে। জ্ঞানমূলক প্রশ্নের নম্বর-১। শিক্ষার্থীর উত্তর সঠিক হলে পুরো নম্বর পাবে উত্তর সঠিক না হলে বা অপ্রাসঙ্গিক উত্তর লিখলে শূন্য পাবে।
অনুধাবন স্তর
অনুধাবন বলতে কোন বিষয়ের অর্থ সঠিকভাবে উপলবিব্ধ বা বুঝতে পারার ক্ষমতা কে বুঝায়। সৃজনশীল প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশ হলো অনুধাবন স্তরের প্রশ্ন। এটি হলো চিন্তন দক্ষতার দ্বিতীয় স্তর। তবে এটি জ্ঞানের চেয়ে একটু উপরে ব্যাখ্যামূলক ও বর্ণনামূলক। এটি শিক্ষাক্রম এর আওতায় পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু অর্থাৎ তথ্য, নীতিমালা,সূত্র, নিয়ম, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া ইত্যাদি বুঝতে পারা। শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারলে ব্যাখ্যা বা অনুবাদ করতে পারবে। বুঝতে পারলেই মৌখিকভাবে এবং প্রতিক, গ্রাফ, সারণি, ও চিত্রের সাহায্যে বিষয়বস্তু শিক্ষার্থীরা উপস্থাপন করতে পারবে। প্রশ্ন প্রণয়নের সময় এ অংশে কোনো ঘটনা বা বিষয়বস্তুর কারণ জানতে চাওয়া হয়। পাঠ্যবইয়ে ঘটনা বিষয়বস্তুর বিবরণ দেয়া থাকে কিন্তু প্রশ্ন প্রণয়নের সময় সরাসরি পাঠ্যবইয়ের বিবরণ জানতে চাওয়া হয় না। শিক্ষার্থীদের বিষয়বস্তু সম্বন্ধে সম্যক ধারণা হয়েছে কিনা তা একটু ভিন্নভাবে প্রশ্ন করে জানতে চাওয়া হয়। এজন্য শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের প্রতিটি অংশ ভালোভাবে বুঝে অধ্যয়ন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনুধাবন স্তরের প্রশ্নের উত্তর পাচ বাক্যের মধ্যে শেষ করবে। অনুধাবন প্রশ্নের নম্বর-২। মধ্যে জ্ঞানের জন্য -১ এবং অনুধাবনের জন্য -১। শিক্ষার্থীর উত্তর যে স্তর পর্যন্ত সঠিক হবে ততটুকু নম্বর পাবে। প্রাসঙ্গিকভাবে লিখলে শূন্য পাবে।
প্রয়োগ স্তর
পূর্বে শেখা কোন ধারণা, পদ্ধতি, নীতি, আইন, বিধি, তত্ত¡, সূত্র ও নিয়মকে বাস্তবে নতুন ক্ষেত্রে ব্যবহার করার ক্ষমতা কে প্রয়োগ বলে। অর্থাৎ পূর্বের শেখা বিষয়কে নতুন কোন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করার দক্ষতা। সৃজনশীল প্রশ্নের তৃতীয় অংশটি হলো জ্ঞান স্তরের প্রশ্ন। সৃজনশীল প্রশ্নে এ অংশটি ভালো মানের উদ্দীপকের উপর নির্ভরশীল। এ প্রশ্নের উত্তর কোনক্রমেই পাঠ্যপুস্তকে সরাসরি থাকবে না। তবে উত্তর প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠ্যপুস্তকে থাকবে। শিক্ষার্থীরা পাঠ্য বইয়ের বিষয়বস্তু ভালো করে পড়লে সে বিষয়ে তাঁর অর্জিত জ্ঞান ও অনুধাবন কে কোন বিশেষ অবস্থায় বা নতুন পদ্ধতিতে প্রয়োগ করতে সক্ষম হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রমের আওতায় পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের প্রতিটি অংশ ভালোভাবে বুঝে অধ্যায়ন করতে হবে যেন যে কোন নতুন পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করা সম্ভব হয়। শিক্ষার্থীরা প্রয়োগমূলক প্রশ্নের উত্তর ১২ বাক্যের মধ্যে শেষ করবে। প্রয়োগমূলক প্রশ্নের নম্বর-৩। যার মধ্যে জ্ঞান-১, অনুধাবন-১, প্রয়োগ-১। শিক্ষার্থীর উত্তর যে পর্যন্ত সঠিক হবে কতটুকু নম্বর পাবে। অপ্রাসঙ্গিক উত্তর লিখলে/উত্তর সঠিক না হলে শূন্য পাবে।
উচ্চতর চিন্তনদক্ষতার স্তর
উচ্চতর চিন্তন-দক্ষতা বলতে কোন বিষয়ের বিশ্নেষণ (বিশেষ থেকে সাধারণ) সংশ্লেষণ (সাধারণ থেকে বিশেষ) এবং মূল্যায়ন (বিচার-বিবেচনা, যুক্তি)কে বোঝায়। অর্থাৎ পূর্বের জানা তথ্য/তত্ত¡ (জ্ঞান+অনুধাবন) ব্যবহার করে নতুন কোন পরিস্থিতিতে বিচার বিশ্লেষণ করার, সিদ্ধান্ত গ্রহণের এবং মূল্যায়নের দক্ষতাই হল উচ্চতর চিন্তন দক্ষতা।
সৃজনশীল প্রশ্নের চতুর্থ অংশটি হচ্ছে উচ্চতর দক্ষতার প্রশ্ন। সৃজনশীল প্রশ্নের অংশটিও উদ্দীপকের উপর নির্ভরশীল। এস্তরের প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর বিচার-বিবেচনার ক্ষমতা, কোন বিষয় বা ঘটনা বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত নেয়ার দক্ষতা যাচাই করা হয়। সৃজনশীল প্রশ্নে এ অংশি কোন অবস্থাতেই পাঠ্যবইয়ে সরাসরি থাকবে না। তবে উত্তর প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠ্যপুস্তকে থাকবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রমের আওতায় পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের প্রতিটি অংশ ভালোভাবে বুঝে অধ্যায়ন করতে হবে যেন সংশ্লিষ্ট তথ্য নতুন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করে শিক্ষার্থী তার বিচার-বিশ্লেষণের, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ও মূল্যায়নের ক্ষমতা প্রদানে আগ্রহী হয়। শিক্ষার্থীরা উদ্দীপক না দেখেও জ্ঞান ও অনুধাবন অংশের উত্তর দিতে পারবে কিন্তু প্রয়োগ এবং উচ্চতর দক্ষতার অংশের উত্তর উদ্দীপক বিবেচনায় না এনে উত্তর করা সম্ভব হবে না। শিক্ষার্থীরা উচ্চতর দক্ষতার প্রশ্নের উত্তর ১৫ বাক্যের মধ্যে শেষ করবে। উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নের নম্বর-৪। যার মধ্যে জ্ঞান-১, অনুধাবন-১, প্রয়োগ-১ এবং উচ্চতর দক্ষতা-১। শিক্ষার্থীর উত্তর যে স্তর পর্যন্ত সঠিক ভাবে ততটুকু নম্বর পাবে। অপ্রাসঙ্গিক উত্তর লিখলে/উত্তর সঠিক না হলে শূন্য পাবে।

 

মো. পারভেজ তালুকদার
সহকারী শিক্ষক (আইসিটি)
মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজ
মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর।
০১৭৪০৫৮৩২৯২

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...