দেবদাস মজুমদার >>
ভাষা সৈনিক, বঙ্গবন্ধুর বাল্য বন্ধু. বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় নেতা প্রয়াত মহিউদ্দিন আহম্মেদের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল)।
এ উপলক্ষে ঢাকাস্থ মহিউদ্দিন আহম্মেদ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আজ সকাল ১০টায় মিরপুর বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত অনুষ্ঠিত হবে। বিকেলে বাদ আছর ধানমন্ডিস্থ নিজ বাসভবনে দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার গুলিসাখালীতে মহিউদ্দিন আহম্মেদ স্মৃতি সংসদ,মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহিলা ডিগ্রী কলেজ ও মঠবাড়িয়া উপজেলা আ.লীগের উদ্যোগে পৃথকভাবে মিলাদ ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।
এসকল কর্মসূচিতে আত্মীয় স্বজন ও শুভানুধ্যায়িদের উপস্থি থাকার জন্য প্রয়াত মহিউদ্দিন আহম্মেদের পরিবারের পক্ষ হতে ও মহিউদ্দিন আহম্মেদ স্মৃতি সংসদের সংগঠক মুক্তিযোদ্ধা মো. আনছার উদ্দিন আহম্মেদ বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য প্রয়াত জাতীয় নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদ ১৯২৫ সালের ১৫ জানুয়ারী মঠবাড়িয়ার গুলিসাখালী সম্ভ্রান্ত মিয়া বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অবসান ঘটিয়ে ১৯৯৭ সালের ১২ এপ্রিল মৃত্যু বরণ করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকাস্থ মিরপুর বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে শায়িত আছেন। তার বাবার নাম প্রাক্তন এমএলসি(১৯২০-১৯২৬)মরহুম মৌলভী আজাহার উদ্দিন মিয়া,মাতা মরহুম মোসাম্মৎ নুরুন্নাাহার বেগম।
প্রয়াত জাতীয় নেতা মহিউিদ্দিন আহম্মেদ পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া আসনে চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। ৫৪ সালের যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচনসহ ১৯৭৩,১৭৯ ও ১৯৯১ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি একজন সুদক্ষ পার্লাামেন্টারিয়ান ছিলেন।
জননন্দিত এই নেতা এলাকায় পান্না মিয়া নামে সমধিক পরিচিত। তিনি রাজনৈতিক জীবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলনে অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৫ আগস্টের পর আ.লীগের দু:সময়কালে মহিউদ্দিন আহম্মেদ কেন্দ্রীয় আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বাকশাল চেয়ারম্যান হন। বাকশাল বিলুপ্ত করে আ.লীগের মূলধারার রাজনীতির সাথে আবার সম্পৃক্ত হন।