কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি >
সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজাকে সামনে রেখে পিরোজপুরের কাউখালীতে চলছে প্রতিমা তৈরি ও রং তুলির কাজ। এ বছর আসন্ন শারদীয় দুর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে কাউখালীর পাল পল্লীতে সবাই ব্যস্ত এখন প্রতিমা তৈরির কাজে।
এখন খড় আর কাঁদামাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির প্রাথমিক কাজ শেষ করে চলছে রং তুলির পরশ। পুজার সময় ঘনিয়ে আসায় দম ফেলার সময় যেন নেই এই মৃৎ শিল্পীদের। আর কাজের চাপ বেশী থাকায় বাড়ীর পুরুষদের পাশাপাশি এ কাজে সহযোগীতা করছে নারীরাও। এ বছর কাউখালী উপজেলায় পাচঁটি ইউনিয়নে ৩৮টি স্থানে পুজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
কুমার পাড়া গ্রামের মৃৎশিল্পী দিলীপ জানান, এবার সে নতুন আঙ্গিকে ভিন্ন সাজের কিছু প্রতিমা তৈরি করেছে কিন্তু এই প্রতিমা গুলো তৈরিতে যে পরিশ্রম হয়েছে সেই অনুযায়ী পারিশ্রমিক সে পাচ্ছে না। তিনি আরো জানান ৩ মাস ধরে সে এই প্রতিমাগুলো তৈরি করছে।
মৃৎশিল্পী অনিল জানান, এবার অর্ডার নেয়া প্রতিমার কাজ সম্পুর্ন হয়েছে এর মধ্যে কিছু কিছু প্রতিমার সাদা রং দেওয়া হয়েছে। বাকীগুলো অল্পদিনের মধ্যে শেষ হবে। বাড়ীর শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধরা এমন কি নারীরাও তাকে সহযোগীতা করছে। প্রতিমা তৈরির উপকরন যেমন খড়, মাটি, রশি, বাঁশ, কাঠ, রং প্রতিটি উপকরনের মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু সে তুলনায় পারিশ্রমিক বৃদ্ধি পায়নি। কাউখালীর মৃৎশিল্পীরা সারা বছর মাটির নানান জিনিস তৈরি করলেও বছরের এ সময়টিতে তারা প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকে। ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত পল্লীতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিনি দর্শনার্থী আসে এই প্রতিমা গুলো দেখতে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কাউখালী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ সঞ্জিত কুমার সাহা জানান, দুর্গাদেবী সহ লক্ষী, স্বরসতী, কার্তিক ও গণেশ তৈরি করা হচ্ছে। মাটি দিয়ে শিল্পীর নিপুন ছোয়ায় দেবী প্রতিমাগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। এ বছর ৩৮টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপিত হবে। যার মধ্যে এতে উপজেলার কাউখালী সদরে ৭টি, আমরাজুড়ি ইউনিয়নে ১৫টি, সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নে ৭টি, চিরাপাড়া পার-সাতুরিয়া ইউনিয়নে ৭টি, শিয়ালকাঠি ইউনিয়নে ২টি।
এ ব্যাপারে কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নের ৩৮টি পুজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি পুজা মন্ডপে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া পুজা মন্ডপগুলোতে র্সাবক্ষনিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে।