বিদ্যুৎ সাওজাল >>
ধর্ম যার যার,উৎসব সবার এই স্লোগানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের মানুষ প্রতি বছর নান উৎসব পালন করে।বাংলাদেশের পার্বত্য চট্রগ্রামে ক্ষু্দ্র নৃ-গোষ্ঠীরা (বান্দরবন,রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি) প্রতিবছর বৈসাবি উৎসব পালন করে। বৈসু বা বৈসুক,সাংগ্রাই,বিজু এর মিলিত রূপ হিসেবে পার্বত্য চট্রগ্রামে এক সময় বৈ-সা-বি শব্দটি প্রচলিত ছিল এবং উল্লেখ থাকে যে বৈ-সা-বি লেখা ব্যানার সহ তৎকালীন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ নেতৃবৃন্দ(১৯৮৫থেকে১৯৮৮)সনের মধ্যে রেলি করেছেন ঐ সময় থেকেই পার্বত্য চট্রগ্রাম এলাকার ৩ টি আদিবাসী সমাজের বর্ষবরন উৎসব হলো বৈসাবি।এটি তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠানের মধ্যে একটি এ উৎসবটি ত্রিপুরাদের কাছে,বৈসুক,বৈস বা বাসুই,মারমাদের কাছে সাংগ্রাই এবং চাকমা তঞ্চঙ্গাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত।মজার কথা হলো এই বৈসাবি নামকরনও করা হয়েছে এই তিনটি উৎসবের প্রথম অক্ষর থেকে।বৈ শব্দটি ত্রিপুরাদের বৈসু থেকে,সা শব্দটি মারমাদের সাংগ্রাই থেকে এবং বি শব্দটি চাকমাদের বিজু থেকে এই তিন শব্দের সম্মিলিত রূপ হল বৈসাবি।বৈসাবি উৎসবের প্রধান আকর্ষন হলো ১লা বৈশাখের অন্যতম পানি উৎসব এ উৎসবে সবাই একে অপরের গায়ে পানি ছুঁড়ে আনন্দে মেতে ওঠে যেন গত বছরের দুঃখ,পাপ ধুয়ে মুছে যায়।মারমা যুবকরা তাদের পছন্দের মানুষটির গায় পানি ছিটানোর মাধ্যমে ভালবাসা প্রকাশ করে।ভালবাসার এমন বর্নাঢ্য উচ্ছাস শুধু বৈসাবিতেই সম্ভব।
লেখক : শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মী ।