মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার টিয়ারখালী গ্রামের এক স্কুল ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের ঘটনায় সিপন হাওলাদার (২৩) ও রাসেল খলিফা (২৩) নামের দুই লম্পটকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। সিপন হাওলাদার উপজেলার মকুমা গ্রামের কবির হাওলাদারের ও রাসেল খলিফা হলতা গ্রামের নেছার খলিফার ছেলে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর সাথে হলতা গ্রামের বাদশা গাজীর ছেলে ইউসুফ গাজী (২৬) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২মে সোমবার রাত আটটার দিকে প্রেমিক ইউসুফ মোবাইল ফোনে স্কুল ছাত্রীকে বাড়ির সামনে রাস্তায় ডেকে আনে। পরে ইউসুফ তার প্রেমিকাকে সুকৌশলে তার দুই বন্ধু সিপন ও রাসেলের মোটর সাইকেলে তুলে দেয়। পরে গভীর রাতে পাঁচশকুড়া নামক স্থানের একটি ফাঁকা মাঠে নিয়ে রাসেলের সহযোগিতায় সিপন ওই ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি তার অভিভাবকদের জানালে এলাকাবাসী বুধবার সকালে সিপন ও রাসেলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে প্রেমিক সহ ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষিতা ওই ছাত্রীটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।