ব্রেকিং নিউজ
Home - অন্যান্য - পিরোজপুরে চলছে ইলিশসহ পোনা মাছ নিধনের মহোৎসব

পিরোজপুরে চলছে ইলিশসহ পোনা মাছ নিধনের মহোৎসব

পিরোজপুর: পিরোজপুরের কঁচা, বলেশ্বর, সন্ধ্যা, কালীগঙ্গা ও পোনা নদীসহ জেলার নদ-নদীতে চলছে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নিধনের মহোৎসব। এ সময়টিতে জাটকাসহ পোনা ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও তার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাছের পোনা ধরে প্রকাশ্যে হাট-বাজারে বিক্রি করছেন।

জানা গেছে, মার্চ থেকে জুন এ ৪ মাস জাটকা বা ছোট ইলিশ ধরা ও বেচাকেনার নিষিদ্ধ সময় হলেও জেলে ও বিক্রেতারা তা মানছেন না। জাটকা ধরা নিষিদ্ধ সময়ে সরকার প্রতিটি জেলে পরিবারের ভরণ-পোষণের জন্য প্রতি মাসে চল্লিশ কেজি চাল দিয়ে থাকেন। পিরোজপুর জেলায় এ রকম সাড়ে ৯ হাজার জেলে পরিবারকে চার মাস যাবত চাল দেবেন বলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।

সে হিসেবে ৪ মাসে জেলেদের মাঝে ১৫ লাখ ২০ হাজার কেজি চাল বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। যার মূল্য ২০ কোটি ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। জেলেদের এসব মাছের ডিম ও পোনা নিধনের বড় মাধ্যম হলো চর গড়া ও বেন্দি জাল। মশারি বা কারেন্ট জাল দিয়ে নদ-নদীর চরে চরে নদী তীরবর্তী এক শ্রেণির মানুষ বাগদা চিংড়ির রেনু (পোনা) ধরার নামে শত শত প্রজাতির অগণিত পোনা ধ্বংস করে ফেলে যা কোনো কাজে আসে না। নদীর তীরে গেলে ওই সব ফেলে দেয়া মরা পোনার দুর্গন্ধে নাক আটকে যায়।

চর গড়া ও বেন্দি জাল দিয়ে ধরা রেনু ইলিশের প্রতি কেজি জেলার হাট-বাজারে বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দরে। বিক্রেতারা ইলিশের ছোট পোনাকে চাবলি মাছ (এক ধরনের ছোট মাছ) বলে ক্রেতাদের বুঝাতে চেষ্টা করেন।

সরেজমিনে ভান্ডারিয়া উপজেলার বোথলা বাজারে গিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা জেলেদের নিকট থেকে ইলিশের প্রতি কেজি পোনা একশ টাকায় কিনে আনেন আর তপশষি (রাম ছোচ) ও পোয়া মাছের রেনু পঞ্চাশ থেকে ষাট টাকা দরে কিনে দেড় থেকে দুই`শ টাকায় বিক্রি করে থাকেন। জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এভাবে নির্বিচারে জাটকাসহ ছোট ছোট মাছ ধরছে।

এ ব্যাপারে পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শহিদুলাম বলেন, অসাধু জেলেদের বিরত রাখার জন্য আমরা নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেট, কোস্ট গার্ড ও পুলিশ নিয়ে নদ-নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ জাল তুলে এনে তা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এ রকম অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, জেলেদের অপতৎপরতা থেকে শতভাগ বিরত রাখা না গেলেও সহনীয় পর্যায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে জেলার সচেতন মহলের মন্তব্য হলো নদ-নদী তীরবর্তী সচেতন বাসিন্দা, জন প্রতিনিধি, আইনঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকেরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে জেলেদের জাটকাসহ পোনা মাছ নিধন থেকে বিরত রাখা সম্ভব।
সূত্রঃ বর্তমান বিডি

Leave a Reply

x

Check Also

এফ-কমার্স ভিত্তিক মঠবাড়িয়া ই-বাজারের সাফল্যগাথা

মঠবাড়িয়া ই-বাজার, একটি এফ কমার্স বা অনলাইন বিজনেস প্লাটফর্ম। আর অনলাইন ভিত্তিক ব্যাবসার নতুন ধারণাকেই ...