ব্রেকিং নিউজ
Home - খোলা কলাম - প্রহর গুনতে শিখতে হবে

প্রহর গুনতে শিখতে হবে

“নিন্মবিত্তদের জন্য সহযোগিতা পাওয়া সোজা

লজ্জায় আমি মধ্যবিত্ত মুখ থাকিতে বোবা

এই দিন শেষ হবে কবে

কিছু কারার নেই প্রহর গুনতে হবে।”

মানুষের কখনও সময় ভালো কাটে আর কখনও মন্দ কাটে। মানুষের কম বেশী সব সময় একটা মন্দ সময় অতিবাহিত করে। সেট হোক মানুষিক ভাবে, শারীরিক ভাবে কিংবা আর্থিক ভাবে। কোন না কোন ভাবে একটা মন্দ সময় অতিবাহিত করতে হয়। এখন এই করোনা ভাইরাস নামক সংক্রমণ রোগের জন্য, বাংলাদেশ সরকার লক ডাউন ঘোষনা দিয়েছে। তাই সকল কাজ কর্ম বন্ধ রয়েছে। এখন সবাইই যে কোন ভাবে মানষিক,শারীরিক,আর্থিক ভাবে সমস্যায় আছেন। তাই সকলে অপেক্ষা করতেছে কবে আগের মত সব ঠিক হয়ে যাবে। এই লক ডাউন সময়ে, সকল কাজ কর্ম বন্ধ রয়েছে। শুধু চিকিৎসালয় ব্যাতীত। তাই বাংলাদেশ সরকার নিন্মবিত্তদের জন্য ত্রান এর ব্যবস্থা করেছে এবং কিছু ধনী পরিবার বা লোক তারাও দুস্থ লোকের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু একজন মধ্যবিত্ত , যে সংসারের চালানোর গোটা ১মাস পরিশ্রম করে, মাসিক বেতন দিয়ে সংসার চালায়। সে তো ত্রান বা সাহায্যের জন্য হাত পেতে নিতে লজ্জাবোধ করে। তাদের আর কি করার শুধু খুদার জালায় প্রহর গুনতে শিখতে হবে। আর অপেক্ষা থাকে মানবিক সাহায্যের।. আমরা এই সময় মধ্যবিত্তদের দূর্বল হিসেবে গগনা করতে পারি। কারন এই সময় তারা অনেক কষ্টে তাদের জীবন অতিবাহিত করছে। মুখ খুলে অন্যের কাছে সাহায্য চাইবে বা নিবে লজ্জায় তা পারে না। তাই মধ্যবিত্তদের জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন, তারা যেন তাদের জন্য গোপনীয় একটি ফান্ড করে যাতে করে তাদের লজ্জাহীন ভাবে এই মূমর্ষ অবস্থাতাটা কিছুটা ঠিক করে নিতে পারে। তিন বেলা দুমুঠো ডাল ভাত তাদের পরিবার, সংসার নিয়ে হাসি মুখে খেতে পারে। এবং আমরা সকলে সৃষ্টি কর্তার কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাদের এই মহামারি থেকে রক্ষা করে দেয়।

Leave a Reply

x

Check Also

প্রতিবেশীর যখন করোনা পজিটিভ

মঠবাড়িয়ায় করোনা এখন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন পর্যায়ে আছে। অর্থাৎ ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে। তাই আমাদের অতিরিক্ত সাবধানতা ...