ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - বঙ্গবন্ধু হত্যার পটভূমি

বঙ্গবন্ধু হত্যার পটভূমি

নূর হোসাইন মোল্লা >

(৫ম পর্ব )
১৫ আগষ্ট রোজ শুক্রবার বেলা ১০টায় বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন এবং সিনেটে ভাষণ দিবেন এ রকম একটা কর্মসূচী ঘোষিত ছিল। এ উপলক্ষে জাসদপন্থি ছাত্রলীগ এবং গণবাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ তৎপর হয়ে ওঠে এবং একটা শক্তির মহড়া দেওয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু তেমন কোন বিক্ষোভ মিছিল হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর আগমন যাতে নির্বিঘ্ন না হয় সেজন্যে গণবাহিনীর সদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ১৪ আগষ্ট বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে ৩টা টাইম বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে কিছু হুড়োহুড়ি ও হইচই হয়। তবে তা ছিল ক্ষণস্থায়ী।

১৫ আগষ্ট ভোরে গোলাগুলির শব্দে ঢাকা বাসীর ঘুম ভেঙ্গে যায়। রেডিওতে ঘোষণা হচ্ছে, আমি মেজর ডালিম বলছি। স্বৈরাচারী শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে। দুপুরের মধ্যেই জানা গেল মেজর ফারুক রহমান, মেজর খন্দকার আব্দুর রশিদ, মেজর শরিফুল হক ডালিম, মেজর বজলুল হুদা, মেজর নূর চৌধুরী এবং আরো কয়েকজন জুনিয়র অফিসার কর্তৃক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, তাঁর ভগ্নিপতি ও তাঁর মন্ত্রী সভার সদস্য আব্দুর রব সেরনিয়াবাত এবং তাঁর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি সপরিবারে নিহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, লেঃ কর্ণেল আবু তাহের এ নারকীয় হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ গ্রহণ না করলেও ১৫ আগষ্ট সকালে ঢাকা বেতার কেন্দ্রে গিয়ে হত্যাকারীদের সাথে হাত মিলান এবং বঙ্গ ভবনে খন্দকার মোস্তাকের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি হত্যাকারীদের সাথে বৈঠক করেন। এ হত্যাকান্ডে অনেকেই শোকাহত আর অনেকেই খুশি। এ ঘটনার কয়েক দিন আগে কয়েক মাস যাবৎ এক নেতা, এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এ স্লোগান দিয়ে বাকশালের সদস্য হওয়ার জন্যে অনেকেই বাকশাল নেতাদের কাছে ধরণা দিয়েছিল। কিন্ত ১৫ আগষ্ট ঢাকা শহরের রাস্তায় বঙ্গবন্ধুর জন্যে প্রকাশ্যে পরিতাপ করার মত মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী গর্জে উঠে বলেন, আমি এ হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ নিব। তাঁকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলে। তিনি ভারতে চলে যান। বাকশালের নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল মালেক উকিল লন্ডনে গিয়ে বলেন, দেশ ফেরাউনের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। ১৫ আগষ্ট সিরাজুল আলম খান কলকাতায় চিত্ত রঞ্জন সুতারের বাসায় ছিলেন। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার খবর শুনে তিনি কেঁদে ছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজেই এ পরিণতি ডেকে আনেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আহমদ শরীফের মতে, শেখ মুজিবের সাড়ে তিন বছরের দুঃশাসন, হত্যা ও লুন্ঠনের বিভীষিকা মুজিবকে গণ শত্রুতে পরিণত করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র তার আন্তরজাতিক রাজনীতির স্বার্থে সে সুযোগে তাঁকে হত্যা করায় সপরিবারে।

বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক, গবেষক ও মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমেদ প্রণীত “জাসদের উত্থানপতনঃ অস্থির সময়ের রাজনীতি” বইয়ে মুক্তিযুদ্ধ কালীন ১১নং সেক্টর কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আবু তাহেরের সহযোদ্ধা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা নাঈম জাহাঙ্গীরের বরাত দিয়ে লেখেন যে, ১৫ আগষ্টের অভ্যুত্থানের ২দিন পর পরিস্থিতি জনার জন্যে নাঈম জাহাঙ্গীর কর্ণেল তাহেরের বাসায় যান। আলাপ-আলোচনাকালে তাহের আক্ষেপ করে বলেন, “ওরা বড় রকমের একটা ভুল করেছে। শেখ মুজিবকে কবর দিতে অ্যালাও করা ঠিক হয়নি। এখনতো সেখানে মাজার হবে। উচিৎ ছিল লাশটা বঙ্গোপ সাগরে ফেলে দেয়া।”

১৫ আগষ্টের পর গণবাহিনীর পক্ষ থেকে একটা লিফলেট প্রচার করা হয়। লিফলেটের শিরোনাম ছিল “খুনি মুজিব খুন হয়েছে-অত্যাচারীর পতন অনিবার্য।” কর্ণেল তাহেরের উদ্দেশ্য ছিল খুনি চক্রকে দিয়ে সামরিক আইন জারি করে বাকশাল বাদে সকল রাজনৈতিক দল নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা। কর্ণেল তাহেরের আশা পূরণ হয়নি। খন্দকার মোস্তাক বাকশালের নেতাদের নিয়ে সরকার গঠন করেন।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে সর্বহারা পার্টির ভূমিকাঃ
সর্বহারা পর্টির পূর্ব নাম ছিল পূর্ব বাংলা শ্রমিক আন্দোলন। ১৯৭১ সালের ৩ জুন এর নাম পরিবর্তন করে সর্বহারা পার্টি রাখা হয়। এ দলটি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু স্বাধীন দেশের নীতির প্রশ্নে এ দলের নেতা সিরাজ সিকদার হয়ে গেলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রধান শত্রু। ১৯৭২ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে সহিংসতার আশ্রয় নেয়। এদলের কর্মীরা বিভিন্ন সময় পুলিশ ফাঁড়ি, থানা ও ব্যাংক লুট করে এবং আওয়ামী লীগের প্রায় ৪ হাজার নেতা, উপনেতা ও কর্মীকে হত্যা করে। আওয়ামী লীগের আক্রান্ত ব্যাক্তিরা অনেক ক্ষেত্রেই স্থানীয়ভাবে দুর্বৃত্তায়ন প্রক্রিয়ার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাত এবং বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ ছিল। আইনগতভাবে এ সব নির্যাতনের প্রতিকার পাওয়ার অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব ছিলনা। সরকার দুর্নীতি দমনে ব্যর্থ। তাই সর্বহারা পার্টির লড়াই ছিল শ্বেত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লাল সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেয়া। জাসদ ও গণ বাহিনীর মত এ দলের কর্মীরা রক্ষী বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হয়। রক্ষী বাহিনীর সাথে তাদের সংঘর্ষ প্রায়ই নিয়মিত ছিল এবং উভয় দলের জনবল ক্ষয় হয়। সেনা বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীতে সর্বহারা পার্টির সমর্থক ছিল। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে তথ্য সরবরাহ করতেন। লেঃ কর্ণেল জিয়া উদ্দিন এ দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৭২ সালের ২০ আগষ্ট সাপ্তাহিক হলি ডে পত্রিকায় “হিডেন প্রাইজ অব ফ্রিডম ফাইটার্স” শিরোনামে এক প্রবন্ধ লেখেন। এ প্রবন্ধে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বেইমানি করার জন্যে সরকারকে দায়ী করেন। এ লেখার জন্যে সরকার তাঁকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেন। তিনি ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করলে তাঁকে সেনা বাহিনী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। অতপর তিনি সরাসরি সর্বহারা পার্টির কাজ করতে থাকেন। লেঃ কর্ণেল আবু তাহের, তাঁর ভাই আনোয়ার হোসেন, মেজর শরিফুল হক ডালিম, মেজর নূর চৌধুরী, ফ্লাইট লেঃ সালাহ উদ্দিন, মেজর জিয়া উদ্দিন প্রমুখ একই সাথে জাসদ ও সর্বহারা পার্টির সাথে যোগাযোগ রাখতেন। লেঃ কর্ণেল জিয়া উদ্দিন এবং আবু তাহের মনে করতেন, বাংলাদেশ ভারতের তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে। সর্বহারা পার্টির কর্মকান্ড ঢাকা, ময়মনসিংহ, পাবনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। দমন পীড়ন হত্যা ও অত্যাচারের প্রতিবাদে সর্বহারা পার্টি ১৯৭৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সারাদেশে হরতাল আহবান করে।
১৯৭৫ সালের ১ জানুয়ারি রক্ষী বাহিনী চট্টগ্রাম থেকে সিরাজ সিকদারকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে চোখ বেঁধে বিমানে করে ঢাকায় আনা হয়। ২ জানুয়ারি তিনি পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু বরণ করেন। তাঁর বোন শামীম সিকদারের মতে শেখ মুজিবের নির্দেশে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সরকারি প্রেস নোটে বলা হয়, পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর সময় পুলিশের গুলিতে সিরাজ সিকদার নিহত হয়েছেন । শামীম সিকদার বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্যে হাতে অস্ত্র তুলে নেয় এবং হত্যা করার সুযোগের সন্ধান করে। কিন্তু সুযোগ আর হয়নি। ইতোমধ্যে জাকারিয়া চৌধুরির সাথে তাঁর বিয়ে হলে সে তার স্বামীর সাথে বিদেশে চলে যায়।

পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিষ্ট পর্টির (এম-এল) ভূমিকাঃ
মোহাম্মদ তোয়াহা এবং আব্দুল হকের নেতৃত্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিষ্ট পার্টি বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন থেকে। পাকিস্তানের সেনা বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞ বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অনিবার্য করে তোলে তখন আব্দুল হকের নেতৃত্বে দলের এক গ্রুপের বক্তব্য ছিল, সকল সংঘাত সৃষ্টি করা হয়েছে শুধু পাকিস্তান ভাঙ্গার জন্যে, যার পেছনে আসল হোতা হচ্ছে সোভিয়েত ইউনিয়নের মদদপুষ্ট ভারতীয় সম্প্রসারণবাদীরা। আব্দুল হকের সহকর্মী মোহাম্মদ তোয়াহা তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরিভাবে সমর্থন করতে পারেন নি। পরিণতিতে মুক্তিযুদ্ধের প্রায় চার মাসের মধ্যে এ দল ভেঙ্গে ২ভাগ হয়ে যায়। আব্দুল হকের দলের নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিষ্ট পার্টি (এম-এল)। তিনি পূর্ব পাকিস্তান সামরিক আইন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে এবং ইঙ্গিত দেয় যে, পাকিস্তানের সেনা বাহিনী তাদের প্রতি চরম বর্বরতা ত্যাগ করলে বিনিময়ে তারা ভারতীয় আগ্রসনের বিরোধীতা করবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আব্দুল হকের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের দালালির অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু তিনি অস্বীকার করেন। স্বাধীনতা লাভের পরেও আব্দুল হক ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তাঁর দলের নাম পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিষ্ট পার্টি (এম-এল) অক্ষুন্ন রেখে গোপনে তাদের অস্তিত্ব বজায় রাখেন। আঃ হক বঙ্গবন্ধুকে ভারতের দালাল এবং আওয়ামী লীগকে ভারতের পুতুল সরকার হিসেবে প্রচার করতে থাকে। তাঁর দলের কর্মীরা দেশের দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ফাঁড়ি, থানা, হাট বাজার এবং ব্যাংক লুট করে ও আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীকে হত্যা করতে থাকে। অন্যদিকে মোহাম্মদ তোয়াহা নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে তাঁর ঘাটি স্থাপন করেন। তাঁর সমর্থকদের পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি (এম-এল) এ নামে সংগঠিত করেন। পরবর্তিতে এর নাম পরিবর্তন করে সাম্যবাদী দল নামকরণ করেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করবেন কি-না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হন। গ্রাম-গঞ্জের মানুষ যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার আন্দোলনে সোচ্চার তখন তিনি দ্বি-মুখী যুদ্ধের কৌশল গ্রহণ করেন। একদিকে তাঁর কর্মীরা পাকিস্তান সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেন, আবার একই সাথে আওয়ামী লীগের অনুগত মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করেন। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের অনুগত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সহযোগিতার ব্যাপারে নোয়াখালী সেক্টরে পাকিস্তান সেনা বাহিনীর কমান্ডার কর্ণেল আশিকের সাথে তাঁর ব্যাক্তিগত যোগাযোগ ছিল। স্বাধীনতার পরে মোঃ তোয়াহা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান করেন এবং গোপনে নাশকতামূলক কমৃকান্ড চালিয়ে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।

এ.আই. খতিবের লেখা “হু কিল্ড মুজিব” বইয়ে লিখেছেন যে, ১৯৭২ সালের প্রথম ভাগে চীনের রাজধানী পিকিং এ (বর্তমানে বেইজিং) এক কূটনৈতিক সান্ধ্য অনুষ্ঠানে মোঃ তোয়াহা বৃহত্তর বাংলা গঠনের পরিকল্পনা পেশ করেন। চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির জনৈক নেতা অনুষ্ঠানে বলেন, চীন বৃহত্তর বাংলা পরিকল্পনা সমর্থন করবে। এর পর ৩ সেপ্টেম্বর পল্টন ময়দানে এক জনসভায় মাওঃ আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বলেন যে, ভারত ও বাংলাদেশের বাংলাভাষী এলাকাগুলো সম্মিলিত হয়ে বৃহত্তর বাংলা গঠন করবে এবং এর মধ্যে থাকবে বাংলাদেশ, পশ্চিম বঙ্গ, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা। বৃহত্তর বাংলা আন্দোলন সম্প্রতি জোরদার হয়েছে এবং মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর সেনাবাহিনী একে দমন করতে পারবে না। পশ্চিম বঙ্গের অধিবাসিরা দিল্লী ও মাড়োয়ারীদের দাসে পরিনত হয়েছে। মাওঃ ভাসানীর এ বক্তব্য উসকানি মূলক এবং দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক শীতল হওয়ার উপক্রম হয়। বাংলাদেল সরকার মাওঃ ভাসানীর বক্তব্য সমর্থ করেনি। এছাড়া, ১৯৮৫ সালের ৭ নভেম্বর সাম্যবাদী দলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলের সভাপতি মোঃ তোয়াহা ৭ নভেম্বরের তাৎপর্য সম্পর্কে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট এবং ৭ নভেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে দু’টি সুদূরপ্রসারী ঘটনা। ১৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমাদের মাতৃভূমি সম্প্রসারণবাদীদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার মুখে এসে দাড়িয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিষ্ট পার্টি এবং সম্যবাদী দলের পরোক্ষ ভুমিকা ছিল। …..(চলমান)

# লেখকঃ অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক
মোবাঃ ০১৭৩০-৯৩৫৮৮৭

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...