ব্রেকিং নিউজ
Home - জাতীয় - উপকূলে ভাদ্রের অবিরাম বৃষ্টি

উপকূলে ভাদ্রের অবিরাম বৃষ্টি

দেবদাস মজুমদার >
আজ ৬ ভাদ্র । ভাদ্রের প্রকৃতি আজ বর্ষাময়। আজ সকাল থেকেই অবিরাম ভারী বর্ষণে প্লাবিত উপকূল। হালকা বাতাস আর মেঘের থেমে থেমে গর্জন। সেই সাথে অবিরাম ভারী বর্ষণে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এবছর বর্ষা মৌসুমের রেকর্ড পরিমান বৃষ্টি চলছে উপকূলজুড়ে। চারিদিকে মাঠঘাট, রাস্তাঘাট আর নদী নালায় পানিতে থৈথৈ করছে। সেই সাথে বৈরী বাতাস। ভরা বৃষ্টির ভেতর কখনও নিকষ কালো আঁধারের মেঘে চারদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে।

অনেকেই জানিয়েছেন এত বৃষ্টি বহু বছর ধরে দেখা নেই। ভরা ভাদ্রের মতই আজ অবিরাম ভারী বর্ষণ । চারিদিকে বৃষ্টির জলধারায় টইটুম্বুর। জনজীবন বৃষ্টিতে ঘরবন্দী। হাট বাজারের দোকানপাটে মানুষের দেখা মিলছেনা। বেশীরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে । গৃহবন্দী মানুষের ঘুমের আমেজ।
মঠবাড়িয়া পৌর শহরের নিউ মার্কেট এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক রফিকুজ্জামান আবীর বললেন, ভাই এ রকম বৃষ্টি অনেকদিন পর দেখলাম। ঘর হতে বের হতে পারছিনা। বৃষ্টি আর বৃষ্টি । তিনি জানালেন, এ অবিরাম বৃষ্টিতে জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। শহরের রাস্তাঘাট জলমগ্ন। মঠবাড়িয়া পৌর শহরের দক্ষিবন্দর একদিকে জোয়ারের পানি আর অন্য দিকে অবিরাম বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ওই এলাকার কয়েকহাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

জানাগেছে, সকাল থেকে তুমুল ভারী বৃষ্টিতে মানুষ ঘরবন্দী অবস্থায় রয়েছে। স্কুল কলেজে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি নেই। হাটে বাজারেও মানুষ নেই । নিম্ন আয়ের মানুষজন কাজে যেতে না পেরে চরম কষ্টে আছেন।
মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, এবছরের রেকর্ড পরিমান বৃষ্টি হয়েছে আজ। টানা ভারী বৃষ্টিতে মঠবাড়িয়াসহ উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জনজীবনে ভাদ্রের বৃষ্টির দুর্ভোগ নেমে এসেছে।

মঠবাড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এখন আমন মৌসুমে এ উপকূলে চারা লাগানো চলছে। ভাদ্রের এই বৃষ্টি কৃষির জন্য সহায়ক হবে। বৃষ্টির জন্য এ বৃষ্টি দরকার। তবে উপকূলের কিছু কিছু নিম্নাঞ্চলে কৃষি জমিতে পানি নিষ্কাশনের স্লুইজগেট সংকট ও বেরিবাঁধ সংকটে সমস্যা হতে পারে। সর্বপরি ভাদ্রের এই বৃষ্টি আমন চাষে আশির্বাদ হবে আশা করছি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, এবছরের রেকর্ড পরিমান বৃষ্টি চলছে উপকূলে। এতে নিম্নাঞ্চলে প্রচুর পানি বেড়েছে। এতে মাছের ঘের ও পুকুরে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কোন কোন মাছ চাষীর পুকুর ঘের প্লাবিত হয়েছে। তিনি জানান অবিরাম বৃষ্টি আরও দুই একদিন স্থায়ী হলে চাষকৃত মাছ ভেসে যেতে পারে। এমন হলে মাছ চাষীরা ক্ষতির সম্মূখীন হবেন।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...