বিশেষ প্রতিনিধি <>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় করোনা সংকটে বিপন্ন এক কৃষকের মাঠের পাকা ধান কর্তন করে দিলেন স্বেচ্ছাসেবকরীগ নেতা কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের বড়শেওলা গ্রামের বিপন্ন কৃষক জাহাঙ্গীর হাওলাদার এর এক একর জমির পাকা ইরি ফসল স্বেচ্ছাশ্রমে কর্তন করে কৃষকের উঠানে তুলে দেন। এতে মঠবাড়িয়ার উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের ৩০ নেতা-কর্মী অংশ নেন।
স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, মঠবাড়িয়ায় করোনা সংক্রমন রোধে লকডাউনের কবলে পড়ে এলাকার মানষ ঘরবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। ফলে কৃষি জমির মাঠে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। এমন উপজেলার বড়শৌলা গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর হাওলাদার তার এক একর জমির পাকা ইরিধান কর্তন নিয়ে বিপাকে পড়েন। খবর পেয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক গোপাল রায় এর নেতৃত্বে ২০জন স্চ্ছোসেবকলীগ ও স্থানীয় স্চ্ছোসেবকলীগের আর ১০ নেতা কর্মী মোট ৩০জন মিলে বিপন্ন কৃষকের জমির পাকা ধান কর্তন করে বাড়ির উঠানে স্তুপ করে দেন।
উপকারভোগি কৃষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, করোনার পর থেকে এলাকার মানুষ লকডাউনে ঘর বন্দী। বাইরে থেকে কোনও কৃষি শ্রমিক মিলছেনা। এমন অবস্থা জমির পাকা ধান নিয়ে বিপাকের ছিলাম। আজ তরুন নেতা কর্মীরা মিলে আমার ধান কর্তন করে দেওয়ায় আমি ভিষণ উপকার পেলাম। এমন সহায়তা পেয়ে আমি আনন্দিত। আমি তাদের মঙ্গল কামনা করছি।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকরীগের সাধারণ সম্পাদক গোপাল রায় বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান করোনা সংকট সময়ে আমাদের কৃষকের পাশে দাড়াতে নিদেৃশ েিয়ছেন। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকরীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমরা স্চ্ছোসেবকলীগ কৃষকের পাশে দাড়াতে চাই। কোনও কৃষকের শ্রমিক সংকট পড়লেই আমরা স্বেচ্ছাসেবকলীগের একঝাঁক তরুণ স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকের দুর্দশা দুর করতে প্রস্তুত।
এ ব্যাপারে উপজেলার মিরুখালী স্কুল এণ্ড কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, করোনা মানুষের জীবনকে স্থবির করে দিয়েছে। এমন সময় স্বেচ্ছাসেবকরীগের উদ্যোমী তরুণরা স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে দেওয়ার বিষয়টি বেশ আনন্দের। এটি এখন বিপন্ন কৃষকের জন্য মহতী কাজ।