মঠবাড়িয়ার প্রতিনিধি <>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঐতিহ্যবাহী মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে.এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের অপসারণ দাবি করে ক্লাস বর্জন করে বক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা গত দুইদিন ধরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্ব্যবহার, অনৈতিকভাবে শিক্ষার্থীদের মারধরসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে তুলে তার অপসারন দাবি করছে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির জরুরী সভায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরার জানান,আজ মঙ্গলবার সকালে ব্ক্ষিুব্দ শিক্ষার্থীর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে স্কুলে প্রধান দুই ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এতে বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যহত হয়। স্কুলের আশপাশ জুড়ে উত্তেজনা ও বিশৃংখলা দেখা দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারিদের ছত্রভঙ্গ করতে মৃদু লাঠি চার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এনিয়ে পুলিশের সাথে বাকবিত-ার এক পর্যায় বিক্ষোভকারি শিক্ষার্থীরা পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা স্কুল গেট থেকে সরে গিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করলে প্রশাসন পরিষদের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। এরপর শিক্ষার্থীরা পৌরসভা ভবনের সম্মূখ সড়ক অবরোধ করে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এতে শহরের প্রধান সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান যোগদানের পর থেকে স্বেচারিতা শুর করেন। তিনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনৈতিকভাবে মারধর করেন ও অকথ্য গালি দেন। সম্প্রতি ৮ম শেণী পড়–য়া এক শিক্ষার্থীকে তুচ্ছ কারনে স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরে মারধর করেন। এমনকি ওই শিক্ষার্থীকে লাথি মারেন।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর বলেন, শিক্ষার্থীদেও অভিযোগ ও বিক্ষোভের কারন উদঘাটনে সোমবার রাতে স্কুলে জরুরী সভা করা হয়েছে। সমস্যা নিরসনে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে মদদ দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, মঠবাড়িয়া উপজেলা সদরের কেএম লতীফ ইনস্টিটিউশন ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ১ হাজার ৬০০ ছাত্র-ছাত্রী নিয়মিত লেখা পড়া করে আসছে। বিদ্যালয়টি উপকূলে মানসম্মত শিক্ষা উন্নয়ন ও ফলাফসে সাফল্যজনক একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত।