ব্রেকিং নিউজ
Home - জাতীয় - মঠবাড়িয়ার বলেশ্বর নদ তীরের খেতাছিড়া বেরিবাধে ধস 🔹জোয়ারের প্লাবনে সহস্রাধিক পরিবারে দুর্ভোগ

মঠবাড়িয়ার বলেশ্বর নদ তীরের খেতাছিড়া বেরিবাধে ধস 🔹জোয়ারের প্লাবনে সহস্রাধিক পরিবারে দুর্ভোগ

দেবদাস মজুমদার, খেতাছিড়া থেকে ফিরে :🔹

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের বলেশ্বর নদতীরবর্তী খেতাছিঁড়া বেড়িবাঁধের তিনটি পয়েন্ট ধসে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে। এতে খেতাছিঁড়া ও কচুবাড়িয়া জেলেপল্লীর বাসিন্দারা গত চার দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার জোয়ারের চাপে বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের তীব্রতা ব্যাপক হারে বেড়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রবল জোয়ারের তোড়ে খেতাছিঁড়া বেড়িবাঁধের তিনটি স্থানে ব্যাপক ধস নেমেছে। এতে হু হু করে জোয়ারের পানি গ্রামে ঢুকছে। নদতীরবর্তী জেলেপল্লীর বসতঘর ও কৃষিজমি প্রায় চার-পাঁচ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে আমন বীজতলা ও পাকা ইরি ধানক্ষেত, সবজিবাগানসহ ৫০টি পুকুর ও ১০টি মাছের ঘের। খেতাছিঁড়া গ্রামের ইউপি সদস্য মো. আফজাল হোসেন বেপারী জানান, জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধের তিনটি পয়েন্টে ধস নেমেছে। গতকাল ওই তিনটি পয়েন্টে ভাঙনের তীব্রতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এতে দুই গ্রামের বসতবাড়ি ও ক্ষেত-খামার ডুবে গেছে। একই গ্রামের মাছ চাষি আলমগীর হোসেন জানান, বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামের ১০টি ঘেরসহ অন্তত ৫০টি পুকুর ডুবে গেছে। এতে মাছ চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। খেতাছিঁড়া গ্রামের গৃহবধূ খাদিজা বেগম (৩৫) বলেন, ‘মোরা তিন দিন ধইরা জোয়ারের পানিতে ভাসতে আছি। হাঁস-মুরগি, গরু-বাছুর লইয়া বিপদে আছি। চুলা হালে পানি রান্না করতে পারি না।’

ভুক্তভোগীরা জানায়, ওই বেড়িবাঁধের প্রায় দুই হাজার ৭০০ ফুট অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ড মাটি ভরাট ও ব্লক নির্মাণকাজ শেষ না করেই কাজ ফেলে চলে যায়। বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এক হাজার ফুট অংশে কোনো কাজই হয়নি। ফলে স্বাভাবিক জোয়ারেই বাঁধ ধসে গ্রামে পানি ঢুকে পড়ছে। সাপলেজা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিরাজ মিয়া জানান, বেড়িবাঁধটি নদীভাঙনকবলিত হওয়ায় কিছু অংশে ধস দেখা দিয়েছে। ওই অংশে জরুরি মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম বালী বলেন, ‘বেড়িবাঁধটি ধসে পড়ার খবর পেয়েছি। ওই স্থানে মাটি ভরাট ও ব্লক নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে বাঁধসংলগ্ন জমির অধিগ্রহণ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে জটিলতার কারণে বাঁধের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি মেরামতের অর্থ নেই। তবে নতুন করে প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বাঁধটি নির্মাণ করা হবে।’

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...