ঢাকার বাসায় নিয়ে এক গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
মেয়েটির বাবা বুধবার ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেছেন।
ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে চরবংশী ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক মো. শাহ জালাল ওরফে রাহুল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কিশোরীর বাবা জানান, ১১ দিন আগে গৃহকর্মী হিসেবে তার মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে যান শাহ জালাল। লঞ্চে করে নেওয়ার সময় ওই কিশোরীকে তিনি প্রথম ধর্ষণ করেন।
স্ত্রীর চাকরির সুবাদে শাহজালাল বেশিরভাগ সময় বাসায় একা থাকেন। এ সুযোগে মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গত ১০ দিন শাহ জালাল একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে জানান মেয়েটির বাবা।
তিনি আরও জানান, এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার রাতে মেয়েটিকে ঢাকা থেকে শাহ জালাল রায়পুরের হাজিমারা এলাকায় রেখে পালিয়ে যান।
“এ ঘটনায় মামলা করতে রায়পুর থানায় গেলে পুলিশ ঢাকায় মামলা করার পরামর্শ দেয়।”
সদর হাসপাতালে নেওয়া হলেও পুলিশের অনুমতি ছাড়া ভর্তি করা যাবে না বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, বলেন তিনি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে রায়পুর থানার ওসিকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রায়পুর থানার ওসি মো. লোকমান হোসেন জানান, থানার এসআই মো. শাহাজানসহ কিশোরীর বাবা ও কিশোরীকে ঢাকা শেরেবাংলা নগর থানায় পাঠানো হয়েছে।
“বুধবার মেয়ের বাবা বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা (নং-০৯) দায়ের করেন।”
এরপর মেয়েটিকে পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি লোকমান।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, ধর্ষণৈর ঘটনায় পুলিশের অনুমতি ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা ও ভর্তি করা যায় না। এ কারণে ওই কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। থানায় পাঠানো হয়েছে।
রায়পুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক কামরুল হাসান রাসেল জানান, শাহ জালাল চরবংশী ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক।
৮ নম্বর চরবংশী ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক মো. শাহ জালাল ওরফে রাহুল ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই কিশোরীকে কাজের জন্য বাসায় নেওয়া হয়েছে। রাজনীতি করার কারণে একটি চক্র তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।