শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে শ্রেণিকক্ষকে আরও আকর্ষণীয় করতে শিক্ষকদের পরামর্শ দিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, শুধু ক্লাসকে আকর্ষণীয় করলেই চলবে না সঙ্গে শিক্ষকদের পাঠদানের বিষয়বস্তুকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। যাতে বাইরে সময় কাটাতে না চায়। শ্রেণিকক্ষ হতে হবে আকর্ষণীয় ও আনন্দময়।
শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করতে হবে মন্তব্য করে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, এ শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন প্রজন্মকে আধুনিক হিসেবে গড়ে তোলা যাবে না। শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন। এ শিক্ষানীতি কি হবে তাও ভাবা হচ্ছে।
সরকার কারিগরী শিক্ষার উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, আগে যা পড়ানো হতো তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল ছিল না। তাই আমরা বিরাট পরিবর্তন এনেছি। বিদেশ থেকে সহযোগিতা আনার পাশাপাশি শিক্ষকদেরও বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনা হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে কারীগরি শিক্ষার হারকে ২০ শতাংশের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে।
এক সময় কারিগরী শিক্ষা ৫০ শতাংশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
গষেষণা, জ্ঞান বিজ্ঞানের দক্ষতায় শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে পারলেই মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য অর্জন হবে বলে মনে করেন মন্ত্রী। সেই লক্ষ্য নিয়ে সবাইকে এগিয়ে যাওয়ার অনুরোধও করেন।
শিক্ষকরা এ দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের বেতন কম হোক। এক সময় শিক্ষকরাই হবে এদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। কেননা তাদের হাতেই এদেশের জ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবী তৈরি হচ্ছে।
নাহিদ আরও বলেন, মান বাদ দিয়ে সংখ্যার ক্ষেত্রে এ দেশে শিক্ষার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করা। এটা রাতারাতি হবে না। এ জন্য সময়ের প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ইমাম হোসেন। অনুষ্ঠান শেষে কলেজের ভাল ফলাফলকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রেস্ট তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী।