ব্রেকিং নিউজ
Home - জাতীয় - নতুন করে সহস্রাধিক বাংলাদেশি সেনাসদস্য প্রবেশ করবে কুয়েতে

নতুন করে সহস্রাধিক বাংলাদেশি সেনাসদস্য প্রবেশ করবে কুয়েতে

মরুভূমির দেশ কুয়েত পুর্নগঠনে এখানে কাজ করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫ সহস্রাধিক সদস্য। বর্তমানে ১০টি কন্টিনজেন্টে বিভক্ত হয়ে মাইন অপসারণসহ নিরাপদ ও আধুনিক কুয়েত পুর্নগঠনে নিজেদের মেধা ও শ্রম ঢেলে দিচ্ছেন বাংলাদেশিরা।

এর বাইরে কুয়েত বিনির্মাণে এখানে রয়েছেন দুই লাখেরও বেশি বাংলাদেশি।

এবার কুয়েতে স্বরাষ্ট্রের অধীনে তথ্য প্রযুক্তি খাতে নিজেদের মেধার পরিচয় দিতে শিগগিরই দেশ থেকে আসবেন আরো সহস্রাধিক বাংলাদেশি।

আর তা নিয়ে অপারেশন কুয়েত পুর্নগঠনে (ওকেপি) কার্যক্রমে কন্টিনজেন্টের সংখ্যা দাঁড়াবে ১১তে।

কুয়েত বিমানবন্দরের অদূরে সোবহান এলাকায় রয়েছে বাংলাদেশ মিলিটারি কমান্ডের (বিএমসি) হেডকোয়াটার। যার নেতৃত্বে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান।

দূতাবাস সূত্র জানান, বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গেছে। শিগগিরই কুয়েত সরকারের একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে নতুন করে সহস্রাধিক সেনাসদস্য প্রবেশ করবে এ দেশটিতে।

সূত্রমতে, দূতাবাস ও বাংলাদেশ মিলিটারি কমান্ডের অক্লান্ত চেষ্টায় দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক এখন ভিন্ন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলভূক্ত (জিসিসি) দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিষ্ঠা, সাহস, নৈতিক মনোবল আর আত্মত্যাগকে বিশেষ মর্যাদার চোখে দেখছেন এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজ পরিবারের সদস্যরা।

‘এর মাধ্যমে কুয়েত সরকারের মিনিস্ট্রি অব ইন্টেরিয়রে (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে) কর্মসংস্থান হবে সহস্রাধিক বাংলাদেশির। এটা অবশ্যই আনন্দের খবর। আমাদের দেশের একজনের কর্মসংস্থান মানে তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের অন্তত ১০ জনের সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনের নিশ্চয়তা’, যোগ করেন কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আসহাব্ উদ্দিন।

দেশটিতে (কুয়েত) ইরাকের আক্রমণের পরপর সেই উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় থেকেই কুয়েতের হয়ে লড়াই করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন বাংলাদেশি সেনারা।

সে হিসেবে কুয়েতের স্বাধীনতার ও অংশীদার বাংলাদেশের সাহসী সেনাবাহিনী। কুয়েতে হানা দিয়ে ইরাকের বাহিনী দেশটির বিভিন্ন স্থানে পুঁতে রেখে যায় অসংখ্য মাইন। সেই কুয়েতকে মাইনমুক্ত করতে গোটা দেশকে ছয়টি সেক্টরে ভাগ করে মাইনমুক্তের কাজ দেওয়া হয় বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, মিশর ও পাকিস্তানকে।

এক পর্যায়ে বাংলাদেশি সৈনিকরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ দিলে ছয়টি সেক্টরকেই তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশের হাতে। যা বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মর্যাদা আর পরিশ্রমের একটি অনন্য স্বীকৃতি বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।

এরই ধারাবাহিকতায় দেশটিতে দিন দিন বাড়ছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা। যার মাধ্যমে বাংলাদেশে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। একই সঙ্গে বাড়ছে সৈনিকদের জীবন যাত্রার সার্বিক মান।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় বিএনপির নির্বাচন বিরোধী প্রচারপত্র বিলি

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগের একতরফা নির্বাচন বন্ধের দাবী ও ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না ...