সমসাময়িক বিষয় নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকার, শামীম মৃধার ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপি

0
58

মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জনাব রুহুল আমিন দুলাল-কে দল থেকে বহিষ্কার করায় সংগঠনের গতিশীলতা ও ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শামিম মিয়া মৃধাকে ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।মঠবাড়িয়ার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সংগঠনকে আরো গতিশীল করা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জনাব মোঃ শামিম মৃধার সাক্ষাৎকার

সাক্ষাৎকারটি গ্রহন করেছেন আজকের মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি

# দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত আছেন।উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সহ বিভিন্ন সময় দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলিয়েছেন।বর্তমানে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়কের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে।এই বিষয়টি নিয়ে আপনার অনুভূতি জানতে চাচ্ছি।

মোঃ শামিম মিয়া মৃধাঃ প্রথমেই মহান আল্লাহতালার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।স্মরণ করছি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক শহদী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে।ধন্যবাদ জানাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও
তারুণ্যের অহংকার ক্যারিশমাটিক নেতা জনাব তারেক রহমানকে।আরো ধন্যবাদ জানাই পিরোজপুর জেলা বিএনপির সম্মানিত নেতৃবৃন্দ সহ মঠবাড়িয়া উপজেলার জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সকল নেতা, কর্মী ও সমর্থককে। জেলা নেতৃবৃন্দ আমাকে দলের যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন আমি আমার সকল মেধা, শক্তি ও শ্রম দিয়ে চেষ্টা করবো তাদের আস্থার প্রতিদান দিতে।ছোটোবেলা থেকেই রাজনৈতিক পরিবেশে বড় হয়েছি।বিপদে আপদে মানুষের পাশে থেকেছি।উপজেলা পর্যায়ে নেতৃত্ব দেবার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই রাজপথে থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে এসেছি।স্বৈরাচার হাসিনার পুলিশলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে সকল রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছি।তাই আশা করছি বর্তমানে দলের হাইকমান্ড থেকে যে দায়িত্ব পেয়েছি মঠবাড়িয়ার সকল নেতা, কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে নিয়ে সেই দায়িত্ব পালনেও অতীতের মতো সফল হবো ইনশাআল্লাহ।

# অভিযোগ রয়েছে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপি-র রাজনীতি বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত।এই বিষয়ে আপনার মতামত কি?

মোঃ শামিম মিয়া মৃধাঃ দেখুন বিএনপি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল।মহান নেতা জিয়াউর রহমানের হাতে ১৯৭৮ সালে যে দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ৪৬ বছর পরে এসে বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্ব ও জনাব তারেক রহমানের সাংগঠনিক দক্ষতায় সেটি এখন মহিরুহে পরিনত হয়েছে।গত দেড় দশকে ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপিড়নের পরে দলটি আরো জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।কিশোর থেকে শুরু করে তরুণ, যুবক ও প্রবীন সবার কাছেই বিএনপি এখন আস্থার ঠিকানা। তাই এত বড় দলে নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকবেই।এটাকে আমি পজেটিভ ভাবেই দেখি।কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতৃত্বের এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই দলটি ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে।বিচ্ছিন্ন দু একটি ঘটনা ছাড়া নেতৃত্বের এই প্রতিযোগিতার ফলে দল লাভবানই হয়েছে।এটাকে নেগেটিভ ভাবে দেখার কিছু নেই।নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকলেও মঠবাড়িয়ায় উপজেলা বিএনপি দেশ ও দলের স্বার্থের ব্যাপারে সকলেই আপোষহীন।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেছিলেন ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়’। মঠবাড়িয়া বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী এটি মনে প্রাণে বিশ্বাস করে এবং বারবার সেটার প্রমানও দিয়েছে।তাই অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে দল বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।

# তবুও কারো কারো আশংকা একটি চিহ্নিত মহল ব্যক্তিস্বার্থে দলকে ব্যবহার করার জন্যই গ্রুপিংয়ের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছে।যদি কেউ এমনটা করার চেষ্টা করে সে ক্ষেত্রে আপনার করনীয় কি?

মোঃ শামিম মিয়া মৃধাঃ
শুরুতেই বলেছি মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপি বর্তমানে সাংগঠনিকভাবে বেশ শক্তিশালী অবস্থায় আছে।তাই ছোটোখাটো মতপার্থক্যের কারণে দলের কোনো সমস্যা হবেনা।তবুও তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই কেউ তাদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য দলের ভেতরে কোনো গ্রুপিং বা অরাজকতার চেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে চিহ্নিত করে দ্রুতই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।আপনি জানেন দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে জনাব তারেক রহমানের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।৫ আগষ্টের পর তারেক রহমানের নির্দেশে এখন পর্যন্ত ২ শতাধিক নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।আপনাকে মনে রাখতে হবে বিএনপিতে কেউই অপরিহার্য নয়।যত বড় নেতাই হোক, দেশ ও দলের স্বার্থ বিরোধী কাজের সাথে জড়ালে তাকে বহিষ্কার হতেই হবে। শুধু উপজেলা বা জেলা পর্যায়ের জন্যই নয়, জনাব তারেক রহমানের এই নির্দশেনা কেন্দ্রীয় নেতাদের বেলাতেও শতভাগ কার্যকর করা হচ্ছে।তাই আমি বিনয়ের সাথে বলতে চাই, আগামী দিনে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপি-র কোনো নেতাকর্মী যদি দখল, সন্ত্রাসী, হুমকি, চাঁদাবাজি সহ যে কোনো ধরনের দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের সাথে জড়ায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

৫ আগষ্টের পর থেকে আজকে পর্যন্ত যদি কোন নেতাকর্মী কোন কিছু দখল করে থাকেন আজ থেকে সেগুলোকে দখন মুক্ত ঘোষণা করা হলো আগামী কাল থেকে যদি কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এই দখল বানিজ্যের কোন সুস্পষ্ট প্রমান পাওয়া যায় তাহলে সাথে তার বিরুদ্ধে কঠিন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে ইনশাআল্লাহ আগামীর রাস্ট্র নায়ক জনাব তারেক রহমানের নির্দেশ পালন করতে এবং দলে ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে যা-কিছু করা দরকার তার সবটুকু’ই করা হবে

# হাসিনা সরকার পতনের পর বর্তমানে দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।দেশ বিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে।পরাজিত শক্তি বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে।এ ক্ষেত্রে আপনার ভাবনা কি?

মোঃ শামিম মিয়া মৃধাঃ
আপনি জানেন ৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয় এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন।পরবর্তীতে বিশ্ব বরেণ্য বাঙালি নোবেলবিজয়ী ডঃ মোহাম্মদ ইউনুসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করে তত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়। বাংলাদেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রত্যাশা এই সরকার দ্রুতই একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করবে।তবে গত দেড় দশকের সকল অনিয়ম, গুম, খুন, অপরাজনীতি, দুর্নীতির ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে একটি আত্মনির্ভরশীল, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরির জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা সহ প্রতিটি সেক্টরে যৌক্তিক সংস্কার আনতে হবে।এর জন্য বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে।এর জন্য সরকারের উচিৎ খুব শিগগিরই নির্বাচনের একটা রোড ম্যাপ তৈরি করা।গত ১৭ বছর মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত ছিলো।তারা উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দেয়ার জন্য উম্মুখ হয়ে আছে। যত দ্রুত নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে দেশ তত দ্রুতই স্থিতিশীল হবে।তবে পরাজিত ফ্যাসিস্টের দোসররা যতই চেষ্টা করুক তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবেনা।বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে দেশের কোটি কোটি বিএনপির নেতা কর্মীরা মিলে তাদের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।বিএনপির পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দলই এই ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ।

# আমরা যদি মঠবাড়িয়ার দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই গত ১৫ বছরে এখানে অবকাঠামোগত তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি।মানহীন কাজ করে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে।পরিকল্পিত উন্নয়ন বলতে যা বোঝায় তার ছিটেফোঁটাও এখানে হয়নি।মঠবাড়িয়ার সুপরিকল্পিত উন্নয়নের বিষয়ে আপনার ভাবনা কি?

মোঃ শামিম মিয়া মৃধাঃ
দেখুন আওয়ামীলীগ সরকারের টার্গেটই ছিলো বাংলাদেশকে লুটপাট করে সব টাকা পয়সা বিদেশে পাচার করে দেয়া।স্বৈরাচার সরকারের যে সব মন্ত্রী উপদেষ্টা আটক হয়েছে রিমান্ডে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য শুনলেই সব স্পষ্ট যে হাসিনা পরিবার কিভাবে বড় বড় প্রকল্পের নামে দেশের টাকা পাচার করেছে।আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এসেছে রুপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের নামে হাসিনা পরিবার কি ভাবে ৬০ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে।হাসিনা সরকার কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়েছিলো।মঠবাড়িয়াও এর বাহিরে নয়।যেহেতু তত্বাবধায়ক সরকারের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে তাই খুব শিগগিরই বড় কোনো প্রকল্প আনা যাবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে চলমান কাজগুলোতে যেনো কেউ কোনো দুর্নীতি করতে না পারে জণগনকে নিয়ে তা আমরা কঠোরভাবে মনিটরিং করবো।যেখানেই অন্যায়, দুর্নীতি হবে সম্মিলিত ভাবে তা রুখে দিতে হবে।

মঠবাড়িয়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী পৌরশহরে একটা শিশুপার্ক নির্মান, প্রবাহমান খালগুলো থেকে দখলকারীদের উচ্ছেদ করা।শহরের ভেতরে যানযট বন্ধে একটা বাইপাস নির্মাণ।সুপেয় পানি নিয়েও অনেক অভিযোগ রয়েছে। শহরের ভেতরে দোকান ছাড়া বসার তেমন কোনো স্থান নেই। আমরা চেষ্টা করবো যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় দ্রুততম সময়ে এগুলো সমাধানের চেষ্টা করা।যে সকল সড়ক ও ব্রীজগুলো নতুন করে নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে সেগুলো যেনো দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করে মানুষের হয়রানি লাগব করা হয় সেই বিষয়টি নিয়ে কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধানের উদ্যোগ নেবো।

# মঠবাড়িয়ায় মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের বেশ দাপট রয়েছে।এগুলো বন্ধে আপনারা কি পদক্ষেপ নেবেন?

মোঃ শামিম মিয়া মৃধাঃ

এটা শুধু মঠবাড়িয়াতেই নয়।গত দেড় যুগে ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে পরিকল্পিত ভাবেই দেশ জুড়ে মাদক ও কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিলো। আমরা জানি রাজনৈতিক ছত্রছায়া ছাড়া এই দুটি বিষয় কখনোই বিকাশ লাভ করতে পারেনা।মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে আমরা আরো কঠোর হওয়ার অনুরোধ করবো।পাশাপাশি খেলাধুলার জন্য মাঠ, বিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং পড়াশোনার জন্য লাইব্রেরী নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে।শুধু পৌরসভা কেন্দ্রিক নয় বরং আমরা চাই প্রতিটি ইউনিয়নেই যেনো পর্যন্ত খেলার মাঠ, লাইব্রেরি ও সাংস্কৃতিক সংগঠন থাকে।এগুলোর জন্য ব্যক্তিগতভাবেও আমি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।সকলের সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমেই কেবল মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের মতো দানবকে রুখে দেয়া সম্ভব।অভিভাবকদেরও সচেতন হবার অনুরোধ করছি।

# দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলার আছে কিনা।

মোঃ শামিম মিয়া মৃধাঃ
আপনি জানেন আমি সবসময়ই কর্মীবান্ধব ছিলাম।দলের নেতা থেকে একদম তৃণমূলের কর্মীদের সাথে আমি সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করে চলি।তাই প্রতিনিয়তই সবার সাথে আমার কথোপকথন হচ্ছে।সবার পরামর্শ নিয়েই মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপিকে আমরা আরো সুসংগঠিত ও শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত করতে চাই।আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী দেশ গঠনে নিজের সর্বোচ্চ মেধা, শ্রম ও অভিজ্ঞতা দিতে প্রস্তুত আছে।ফ্যাসিবাদের পতনের পরে দেশের প্রতিটি সেক্টরে সংস্কারের তীব্র আকাঙ্খা তৈরি হয়েছে।এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে দলের ভেতরেও শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে।যারা দলের স্বার্থ বিরোধী কোনো কাজ করবে তাদের ব্যাপারে দল এবার জিরোটলারেন্স দেখাবে।মনে রাখতে হবে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত আমরা প্রত্যেকেই বানভাসি মানুষের মতোই বিপদগ্রস্ত।তাই দলের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপি-র সকল নেতা কর্মী ও সমর্থককেই হাতে হাত রেখে পথ চলতে হবে।তাহলেই কেবল আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।

সকলকে ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, শহীদ জিয়া অমর হোক, খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ, তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান জিন্দাবাদ।

About The Author