ব্রেকিং নিউজ
Home - অন্যান্য - কৃষি ও বাণিজ্য - এফ-কমার্স ভিত্তিক মঠবাড়িয়া ই-বাজারের সাফল্যগাথা

এফ-কমার্স ভিত্তিক মঠবাড়িয়া ই-বাজারের সাফল্যগাথা

মঠবাড়িয়া ই-বাজার, একটি এফ-কমার্স বা অনলাইন বিজনেস প্লাটফর্ম। আর অনলাইন ভিত্তিক ব্যাবসার নতুন ধারণাকেই এফ কমার্স বলা হয়।

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এর মাধ্যমে পরিচালিত ব্যবসাকে আলাদা নামে অর্থাৎ ফেসবুক কমার্স বা এফ-কমার্স নামে অভিহিত করা হচ্ছে। বর্তমান সময়ে এফ-কমার্স নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি এখন ফেসবুকের সাথে যুক্ত থাকায় ফেসবুকে ব্যবসা বা এফ-কমার্স বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ব্যবসা পরিচালনা করা ই-কমার্সের তুলনায় অনেক সহজ। কারণ, এখানে আলাদা করে ওয়েবসাইট ম্যানেজ করার প্রয়োজন হয়না। ফেসবুক পেইজ এবং গ্রুপের মাধ্যমেই ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। ফলে ব্যবসা পরিচালনা করতে খরচ কম হয়। তরুণ উদ্যোক্তা বিশেষ করে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে এফ-কমার্স পরিচালনাকারীর সংখ্যা প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

করোনাকালীন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কথা বিবেচনা করে ২০২০ সালে ৫ জুলাই ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যেমে প্রতিষ্ঠিত হয় “মঠবাড়িয়া ই-বাজার” অনলাইন বিজনেস প্লাটফর্ম। অল্প অল্প সদস্য দিয়ে শুরু যা এখন ২৩,৫০০+ সদস্য হয়েছে এই প্লাটফর্ম এ । এই গ্রুপে রয়েছে শত শত পুরুষ ও নারী উদ্যোক্তা, তারমধ্যে থেকে ৯০% নারীরা সফল উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন। যারা নিজেদের হাতে বানানো বৈধ ও হালাল পণ্য বা সেবা দিয়ে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে। মঠবাড়িয়া ই-বাজার এ কাজ করে অনেক উদ্যোক্তারা স্বাবলম্বী ও লাখোপতি হয়েছে। এই প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে উদ্যোক্তারা বিভিন্ন খাবার আইটেম যেমন: বিরিয়ানি, কাচ্চি, তেহারি ,বিভিন্ন রকমের পিঠা, জন্মদিনের কেক, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি বিশেষ করে রসগোল্লা, রস মালাই, ছানার মিষ্টি, বিভিন্ন ধরনের আচার, হালিম, চটপটি, ফুচকা, পায়েশ, পিজ্জা ইত্যাদি হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছে ক্রেতারা। এছাড়াও ফেসবুকে যেসব ব্যবসা চলে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পোশাক, তৈজসপত্র, উপহার সামগ্রী, কসমেটিকস ও জুয়েলারি।

বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দেয়া ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা সকল সুবিধা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আজকাল পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ই-কমার্স ও এফ-কমার্সে কাজ করে যাচ্ছে। আর ক্রেতারা ঘরে কিংবা অফিসে বসে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য অর্ডার করেন এবং ঘরে বসেই হোম ডেলিভারি সুবিধার মাধ্যমে হাতে পেয়ে যান। যারা অসহায়, বেকার ও অবহেলিত এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় এমন সদস্যদের খুজে বের করে তাদের সাথে অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বিভিন্ন ট্রেইনিং এর মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছে মঠবাড়িয়া ই-বাজার এর সফল উদ্যোক্তারা। এখানে সবাই স্বাধীনভাবে ব্যবসা পরিচালনা ও উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে সম্ভব হয়েছে।

ইতিমধ্যে অনলাইন ভিত্তিক মঠবাড়িয়া ই-বাজার প্লাটফর্ম টি ভান্ডারিয়ার হরিন পালা ইকো পার্কে উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা, উপজেলা পরিষদে সুবর্ণ জয়ন্তী মেলা ও ডিজিটাল মেলায় অংশগ্রহণ করে সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।

লেখক: আরাফাত হোসাইন মিরাজ প্রতিষ্ঠাতা, মঠবাড়িয়া ই-বাজার

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...